সৌভাগ্যসূচক গোলে প্রায় তিন দশক পর লিভারপুলের বিপক্ষে জয়ের আশা জাগাল নরিচ সিটি। কিন্তু তিন মিনিটের ঝলকে তাদের আশা তছনছ করে দিলেন সাদিও মানে ও মোহামেদ সালাহ। শেষ দিকে জালের দেখা পেলেন লুইস দিয়াস। দারুণ জয়ে লিগ টেবিলে ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে ব্যবধান কমাল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। অ্যানফিল্ডে শনিবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ৩-১ গোলে জিতেছে লিভারপুল।
প্রথম মিনিটেই লিভারপুলের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় নরিচ। ডান দিক থেকে তাদের ইংলিশ ডিফেন্ডার ম্যাক্স অ্যারন্সের ক্রসে এক হাতে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান গোলরক্ষক আলিসন। তৃতীয় মিনিটে তারা বল জালে পাঠালেও অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। ৫ম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হারান লিভারপুলের কসতাস সিমিকাস। ডান দিক থেকে সালাহর ক্রসে কাছ থেকে অবিশ্বাস্যভাবে ভলিতে বল উড়িয়ে মারেন এই গ্রিক ডিফেন্ডার। ১৪ মিনিটে মানের ক্রসে ভার্জিল ফন ডাইকের হেড ঠেকান গোলরক্ষক।
২০তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত লিভারপুল। সালাহর প্রচেষ্টা গোললাইন থেকে ফেরান প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডার মাথিয়াস নরমান। ৩৭তম মিনিটে দিয়াসের শট ঠেকান গোলরক্ষক। পরের মিনিটে ফন ডাইক বল জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে ভাগ্যের ছোঁয়ায় এগিয়ে যায় নরিচ। ডি-বক্সের বাইরে থেকে মিলো রাশিকার শট লিভারপুলের ডিফেন্ডার জোয়েল মাতিপের পায়ে লেগে দিক পাল্টে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায়। কিছুই করার ছিল না আলিসনের। এরপর ৬৪ থেকে ৬৭, লিভারপুলের তিন মিনিটের ওই ঝলক।
প্রথমে সমতা টানেন মানে। জর্ডান হেন্ডারসনের ক্রসে সিমিকাসের হেড পাসে ছয় গজ বক্সের মুখে অ্যাক্রোবেটিক শটে জাল খুঁজে নেন সম্প্রতি আফ্রিকান নেশন্স লিগ জয়ী সেনেগালের ফরোয়ার্ড।
সালাহর গোলে বড় অবদান আছে আলিসনের। ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষকের লম্বা করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের বাধা এড়িয়ে নিচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন মিসরের ফরোয়ার্ড।
চাপ ধরে রেখে ৮১তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ায় স্বাগতিকরা। হেন্ডারসনের থ্রু বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন গত মাসে পোর্তো থেকে অ্যানফিল্ডে আসা কলম্বিয়ার উইঙ্গার দিয়াস।
২৫ ম্যাচে ১৭ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে লিভারপুল। সমান ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে নরিচ সিটি।