মোঃজোহরুল ইসলাম জোহির,নাচোল(চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ-গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান, অপরদিকে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা গাছ কাটতে হলে সরকারের অনুমতি লাগবে এমন নিয়ম থাকলেও সেটির তোয়াক্কা না করে অবাধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সরকারি খাড়ির লাগানো গাছ ভূমিদস্যুরা কেটে সাবাড় করে ফেলেছে।বিষয়টি বনবিভাগ কে জানালে বনবিভাগ বলছে এসব গাছ বিএমডি কর্তৃক অংশিদারিত্বের ভিত্বিতে লাগানো গাছ। আর বিএমডি বলছে এসব গাছ বনবিভাগের। দুই বিভাগের টানাপোড়নে প্রায় দুই লক্ষ টাকার ২৫টি মেহগনির গাছ কেটে ভূমিদস্যুরা তা লোপাট করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউপির সগুনা হতে চন্দ্রাইল সরকারি খাড়ির পাড়ের ২৫ টি মেহগনির গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে ভূমি দস্যুরা। স্থানীয় উপকারভোগি নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, প্রায় ৭/৮বছর আগে বিএমডির মাধ্যমে আমরা এসব মেহগনির গাছ লাগিয়েছিলাম। হটাৎ করে এখন দেখছি জণৈক কালাম নামের এক ব্যক্তি এসব গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছে।
খাড়ির ২৫টি মেহগনির গাছ কাটা হয়েছে,এসব গাছের দাম আনুমানিক দুই লক্ষ টাকা।বনবিভাগ ও বিএমডির একে অপরের গাছ দাবি না করায়, গাছ গুলি ইতিমধ্যে কেটে বিক্রি করা হয়েছে।
পশ্চিম মির্জাপুর গ্রামের বাশির নামের এক ব্যক্তি জানান,শিবগঞ্জ উপজেলার বাররশিয়া গ্রামের আবুল কালাম নামে এক ব্যক্তি সরকারি গাছ গুলো কেটেছে।
এ বিষেষ নাচোল ফরেস্ট অফিসার আবুল কালাম আজাদ জানান,খবর পেয়ে গাছ গুলি দেখতে পাঠিয়েছিলাম। সরকারি খাড়ির গাছ গুলি আসলে আমাদের না,গাছগুলো বিএমডিএর।
এদিকে নাচোল বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারি প্রকৌশলী শাহ মঞ্জুরুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,খাড়ির গাছ গুলো সম্ভবত বনবিভাগের। আমি ছুটিতে আছি রবিবার অফিসে খোঁজ নিয়ে দেখব।
স্থানীয়দের দাবি,সরকারি খাড়ির গাছ গুলো যারই হোক,সরকারি স্বার্থে খাড়ির এসব গাছ গুলো উদ্ধার করা প্রয়োজন ছিলো বলে মনে করেন তারা।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]