ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে পরাজয়ের স্বাদ ভুলতে বসেছিল প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। তাদের সেই তিক্ত স্বাদ মনে করিয়ে দিলো নান্তেস। টানা ১৫ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর অবশেষে নান্তেসের মাঠে গিয়ে ১-৩ গোলে হারলো মাউরিসিও পচেত্তিনোর শিষ্যরা। যা ছিল ক্লাব ক্যারিয়ারে লিওনেল মেসির ৮০০তম ম্যাচ।
গত নভেম্বরে ঘরের মাঠে নান্তেসের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতেছিল পিএসজি। সেদিনই লিগ ওয়ানে নিজের প্রথম গোল করেছিলেন মেসি। এবার একই দলের বিপক্ষে ক্লাব ক্যারিয়ারে নিজের ৮০০তম ম্যাচটিকে জয়ে রাঙাতে পারলেন না আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।
লিগ ওয়ানে সবশেষ গত অক্টোবরে রেনের মাঠ থেকে ০-২ গোলে হেরে ফিরেছিল পিএসজি। এরপর থেকে টানা ১৫ ম্যাচ আর হারতে হয়নি তাদের। শনিবার রাতে শুধু হারেইনি তারা, রীতিমতো ধরাশায়ী হয়েছে নান্তেসের কাছে। ম্যাচের প্রথমার্ধেই হজম করেছে ৩ গোল।
সবশেষ ২০১০ সালের আগস্টে সোচাক্সের বিপক্ষে প্রথমার্ধে ৩ গোল হজম করেছিল পিএসজি। সেদিন তারা হেরেছিল ১-৩ গোলে। প্রায় ১২ বছর আবারও প্রথমার্ধে ৩ গোল হজম করার ম্যাচে তাদের পরাজয় সেই একই ১-৩ গোলের ব্যবধানে।
অবশ্য মাঠের পারফরম্যান্সে বিবর্ণ ছিল পিএসজি, তা বলার সুযোগ নেই। কেননা পুরো ম্যাচে প্রায় ৭২ শতাংশ সময় বলের দখল নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই রেখেছিল তারা। গোলের জন্য লক্ষ্য বরাবর শট করেছে ৯টি। কিন্তু প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে গেছেন নান্তেস গোলরক্ষক আলবান লাফোন্ত।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ম্যাচে চতুর্থ মিনিটেই স্বাগতিকদের এগিয়ে দিয়েছিলেন রান্দাল কুলো মুয়ানি। পরে ১৬ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কুয়েন্টিন মারলিন। দুই গোলে পিছিয়েও ম্যাচে ফিরতে চেষ্টার কমতি রাখেনি পিএসজি।
ম্যাচের ৪৩ মিনিটে কাইলিয়ান এমবাপেকে ফাউল করায় সরাসরি লাল কার্ড দেওয়া হয়েছিল নান্তেসের ডিফেন্ডার ডেনিস আপিয়াহকে। তবে ভিডিও এসিস্ট্যান্ট রেফারির সহায়তা নিয়ে দেখা যায়, লাল কার্ড দেওয়ার মতো অপরাধ ছিল না সেটি। তাই দেওয়া হয় হলুদ কার্ড।
এর মিনিট দুয়েক পরেই তৃতীয় গোল হজম করে পিএসজি। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে ক্যাস্তেলেতোর হেডার লাগে জর্জিনিও উইজনাল্ডুমের হাতে। ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। লুডোভিক ব্লাসের স্পট কিকে হাত লাগিয়েছিলেন পিএসজি গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। কিন্তু শটের পাওয়ারে বল চলে যায় জালে।
তিন গোলে পিছিয়ে বিরতিতে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ৪৭ মিনিটেই পিএসজির হয়ে প্রথম গোল করেন নেইমার। নিজের ৮০০তম ম্যাচে দারুণ খেলতে থাকা লিওনেল মেসি করেন এই গোলের এসিস্ট। তবে তিনি নিজে গোলের দেখা পাননি।
ম্যাচের ৫৮ মিনিটে গিয়ে ফের গোলের সুযোগ আসে পিএসজির সামনে। ডি বক্সের মধ্যে আবারও এমবাপেকে ফাউল করেন আপিয়াহ। এবার পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। কিন্তু স্পট কিকে দুর্বল শট নেন নেইমার। যা সহজেই ঠেকিয়ে দেন নান্তেস গোলরক্ষক।
এরপর আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব হয়নি পিএসজির। এই পরাজয়ের পর ২৫ ম্যাচে তাদের ঝুলিতে রয়েছে ৫৯ পয়েন্ট। দুই নম্বরে থাকা মার্শেইর সংগ্রহ ২৪ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট। পিএসজিকে হারিয়ে ২৫ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে রয়েছে নান্তেস।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]