পলাশ,সারিয়াকান্দি(বগুড়া)প্রতি
যে কারণে নৌ-রুটটি দিয়ে উজানের চিলমারী, কুড়িগ্রাম, রৌমারী ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন স্থানে স্বল্প খরচে পণ্য পরিবহণ চলতো তা অনেক আগেই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবহণ সংশ্লিষ্ট হাজার হাজার লোক বেকার হয়ে পরেছেন। এছাড়াও সড়কপথে ওইসহ পণ্য পরিবহণে চার/পাঁচ গুণ খরচ গুণতে হচ্ছে উজানের জেলাগুলোর জনগণের। এদিকে এরই মধ্যেই সারিয়াকান্দির আন্তঃজেলা নৌ-রুট কালিতলা, জামালপুরের মাদারগঞ্জ, ইসলামপুরের গুটাইল, উখিয়া, মাইজবাড়ী ও গাইবান্ধার সাঘাটা নৌ-রুট বন্ধ রয়েছে গত ৮দিন হলো।
তবে সারিয়াকান্দির ৫ কিলোমিটার ভাঁটিতে কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নে মথুরাপাড়া নামক স্থান থেকে নৌ-রুটটি যথারীতি চালু রয়েছে। তবে নৌ-রুটটি চালু থাকলেও এখানে নৌ চলাচল করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে মাঝি-মাল্লাদের মাঝি-মাল্লারা বলছেন, ১ ঘন্টার পথ ২ ঘন্টাতেও শেষ হতে চাইছে না। তারা আরও বলেন, মাঝে মধ্যে নৌকা ডুবো চরে আটকা পড়ে দুর্ভোগের শেষ থাকছে না। নৌকার মাঝি সাহাম্মত ও সুজাইল ইসলাম বলেন, কি করবো আমরা, নদীর তলায়তো পানি নেই। ডুবো চরে যখন যাত্রী বাহী নৌকা আটকে যায়, তখন আমাদের দুর্ভোগের শেষ থাকেনা। পথ চলতে নৌ-পথে একাধিকবার নৌকা আটকে যাচ্ছে। কাজলা ইউনিয়নের জামথল চরের রফিকুল ইসলাম বলেন, নদীতে নৌকা ঠিকমতো চলছেনা।
এজন্য কৃষি পণ্যের আমরা ন্যায্য দাম পাচ্ছিনা। তারপরও বহু কষ্টে কৃষি পণ্য আনা-নেওয়া করছি। এতে আমাদের দুর্ভোগ ও খরচ উভয়ই বেড়েছে। এবিষয়ে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (এস.ডি.ই) আবদুর রহমান তাসকিয়া বলেন, যমুনা নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় বর্ষাকালে উভয় তীরে সহজেই বন্যার দেখা দিচ্ছে আবার শুষ্ক মৌসুমে নদীতে পানি কমে যাওয়ায় নৌ-যান চলছেনা। এতে উভয় সময়েই স্থানীয়রা দুর্ভোগে পরছেন। এ অবস্থা থেকে উত্তোরনের জন্য সরকার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এতে ২১’শ শতাব্দির মধ্যে নদীকে পরিকল্পীতভাবে ড্রেজিং করে যমুনা নদীকে আশীর্বাদ হিসেবে পরিণিত করা হবে।