হারের পথটা আগেই গড়ে রেখেছিল বাংলাদেশ। বোলাররা নেহায়েত মন্দ করেননি। তবে ১৩৭ রানের পুঁজি নিয়ে জিততে হলে যা করতে হতো বল হাতে, সেটা হয়নি। ফলে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বিশাল হারই সঙ্গী হলো বাংলাদেশের।
ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে মাত্র ১৩৭ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। জবাবে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৭.৫ ওভারেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। টানা দুই পরাজয়ে ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা অনেকটাই ফিকে হয়ে গেলো বাংলাদেশের।
মাঝারি লক্ষ্যে খেলতে নেমে তাসকিন আহমেদের প্রথম ওভারে এক বাউন্ডারিসহ ১০ রান তুলে নেয় কিউইরা। পরের দুই ওভারে শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ দারুণ বোলিং করেন। এ দুজনের দুই ওভার থেকে খরচ হয় মাত্র ৫ রান।
শরিফুলের করা চতুর্থ ওভারে ছক্কা হাঁকিয়ে হাত খোলার ইঙ্গিত দেন অ্যালেন। লেগস্ট্যাম্পের ওপর করা হাফভলি ডেলিভারি অনায়াসেই ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে সীমানার ওপারে পাঠিয়ে দেন এ ডানহাতি ওপেনার। ঘুরে দাঁড়াতে একদমই সময় নেননি শরিফুল।
এক বল পরই অ্যালেনকে সাজঘরের ঠিকানায় ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন এ বাঁহাতি পেসার। তার লেগস্ট্যাম্পের ওপরে করা ডেলিভারি আবার ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানার কাছে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের হাতে ধরা পড়ে যান ১৮ বলে ১৬ রান করা অ্যালেন।
কিন্তু পরের ওভারে জোড়া বাউন্ডারি হজম করে ১২ রান দিয়ে বসেন হাসান। পাওয়ার প্লে'র শেষ ওভারে তাসকিন অবশ্য ভালো বোলিং করে। তার ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ও ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ডেভন কনওয়ে ও কেইন উইলিয়ামসন মিলে নিতে পেরেছেন মাত্র ৪ রান। ফলে পাওয়ার প্লে'তে ৪০ রানের বেশি হয়নি।
তাতে অবশ্য একদমই চিন্তা করেননি নিউজিল্যান্ডের দুই তারকা ব্যাটার কনওয়ে ও উইলিয়ামসন। বরং ছোট লক্ষ্য হওয়ায় দুজন মিলে রয়ে-সয়ে খেলার দিকেই মন দেন। যে কারণে পরের ছয় ওভারে কোনো উইকেট না হারালেও ৪০ রানের বেশি করতে পারেনি তারা।
তবে এর মাঝেই সাকিব আল হাসানের বলে ১০৭ মিটারের বিশাল এক ছক্কা হাঁকিয়ে আগ্রাসনের ইঙ্গিত দেন কনওয়ে। কিন্তু অন্যপ্রান্তে কিউই অধিনায়ক উইলিয়ামসন রীতিমতো খোলসবন্দী হয়ে পড়েন। তাই উইকেট না হারালেও রানের গতি তেমন বাড়েনি।
শেষমেশ ইনিংসের ১৫তম ওভারে গিয়ে থামে উইলিয়ামসনের সংগ্রামী ইনিংস। হাসানের করা সেই ওভারের শেষ বলে ত্রিশ গজের বৃত্ত পার করার চেষ্টায় মিড অনে তাসকিনের হাতে ধরা পড়েন ২৯ বলে ৩০ রান করা কিউই অধিনায়ক।
উইলিয়ামসনের বিদায়ে ভাঙে ১১ ওভারে ৭৫ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। অধিনায়ককে হারানোর আগেই ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন কনওয়ে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি করতে ৩৬ বল খেলেন এ বাঁহাতি ওপেনার।
পরে গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে আর কোনো বিপদ ঘটতে না দিয়ে সহজেই ম্যাচ শেষ করেন কনওয়ে। দুইটি করে চার-ছয়ের মারে ৯ বলে ২৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন ফিলিপস। কনওয়ের ব্যাট থেকে আসে ৫১ বলে ৭০ রানের ঝকঝকে ইনিংস।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]