সোহেল রানা, মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের তুলনায় ধানের দাম তেমন বাড়েনি বলে দাবি করেছেন উত্তারাঞ্চলের শস্যভান্ডার খ্যাত নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা চালকল মলিকরা। সোমবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা চালকল মালিক গ্রুপের নিজস্ব মিলনায়তনে গ্রুপের অষ্টম বার্ষিক সাধারন সভায় বক্তব্য দানকালে বক্তারা এই দাবি করেন। খাদ্যে উদ্বৃত্ত এই উপজেলায় অটো ও সাধারন মানের চারশ’র বেশি চালকল রয়েছে।সভায় সভাপতির বক্তব্য দানকালে গ্রুপের সভাপতি ও খাজুর ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘গত ৫বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যেভাবে বেড়েছে, ধান চালের দাম সেভাবে বাড়েনি। সার, বীজ, কীটনাশক, পানি প্রভৃতির মূল্য বাড়ায় সাধারন চাষিরা ধান বিক্রি করে তেমন একটা লাভ করতে পারেননা। বাজারে ধানের সরবরাহ কম থাকায় মিলারদেরকে প্রতিযোগিতামূলক দামে ধান কিনতে হয়। বর্তমানে মোটা কাঁচা ধান মণপ্রতি এক হাজার টাকা থেকে এক হাজার ২০টাকা। এই দামে ধান কিনে মিলারদের লস স্বীকার করে সরকারি খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহ করতে হয়। এতকিছুর পরেও ধানের দামে সামান্য ওঠানামা হলেই সাংবাদিকেরা নিগেটিভ নিউজ করা শুরু করেন।’গ্রুপের সাবেক সাধারন সম্পাদক ওসমান গণি বলেন, ‘সরকার বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দিচ্ছেন। চামড়াসহ বিভিন্ন শিল্পে ধস নামার পর সরকার সেসব শিল্পে ঋণ গ্রহিতাদের ঋণ আদায় স্থগিত রেখে প্রণোদনা দিচ্ছেন। কিন্তু চালকল মালিকরা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাদের নামে একের পর এক মামলা দেয়া হচ্ছে। কিছু হলেই মালিকদের লাইসেন্স বাতিল করা হচ্ছে।’ তিনি বাস্তবতার নিরিখে এই শিল্পে সরকারি সহযোগিতার দাবি জানান।গ্রুপের সাধারন সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক তরফদারের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মো: আবদুল জব্বার, কোষাধ্যক্ষ সেলিম উদ্দিন, সাবেক কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্ব মো: আব্দুল খালেক, সদস্য ও ভীমপুর ইউপি চেয়ারম্যান শ্রী রামপ্রসাদ ভদ্র, আইনুল ইসলাম, কামরান মালিক খান, আনিছুর রহমান, মহাদেবপুর সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।শেষে গ্রুপের নিজস্ব ভবনে কমিউনিটি সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]