নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৬নং নাউতারা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের আকাশ কুড়ি গ্রামের আনন্দ বাজার ব্রীজ সংলগ্ন জমির মাটি,বালু ও নাউতারা নদীর খননকৃত পাড়ের সংরক্ষিত বালু দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে টোলীযোগে বহন করে বিক্রি করছে ঐ এলাকার মৃত তোতা মিয়ার ছেলে জুলহাস মিয়া ও ইউছব মিয়াসহ একই গ্রামের আঃ ছাত্তারের ছেলে আজাদ মিয়।
জাতীয় সম্পদ রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ৬৪ জেলার নদী, খাল খননে, নদীর নব্যতা ফিরানোর লক্ষ্যে ডেল্টা প্লান বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তারই ধারা বিশেষ এ সকল নদী খনন করা হয়। নদী খননের দু’ধারে বাঁধের পাড় ও ফসলি জমি কেটে মাটি,বালু রাতের আঁধারে, কখনো ভোরে, কখনো দিন দুপুরে কোন প্রকার ইজারা ছাড়াই লুটে নিয়ে যাচ্ছে বালু দস্যুরা।
এলাকাবাসির গোপন সংবাদে ভিত্তিতে জানা যায়, ফসলি জমি ও নদীর দুই ধারে রাখা পাড়ের বালু অবৈধ ভাবে উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের আনন্দ বাজার এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মৃত তোতা মিয়ার ছেলে জুলহাস মিয়া ও ইউছব মিয়াসহ একই গ্রামের আঃ ছাত্তারের ছেলে আজাদ মিয়া।
দীর্ঘদিন ধরে ক্রয় বিক্রয় করে আসছে। বিশেষ করে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক দুদিন সরকারি ছুটিতে বিভিন্ন অফিস বন্ধ থাকায় তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। এ দুদিন তারা দিনে রাতে মাটি ও বালু বিক্রির উৎসবে মেতে উঠেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সাংবাদিক সেখানে গেলে দেখা যায়, মৃত তোতা মিয়ার ছেলে জুলহাস মিয়া তার বেশ কয়েক জন মিলে ফসলি জমির মাটি ৫/৬ ফুট গভীর করে অবৈধভাবে টলীযোগে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছেন।এখান থেকে মাটি ও বালু কেটে কি করা হচ্ছে বা কোথায় নেওয়া হচ্ছে? এমন প্রশ্নে টলি মালিক জুলহাস ও তার সাথে থাকা ড্রাইভারসহ জমির মালিক আওলাদ
বলেন, আমরা আমাদের জমি থেকে মাটি ও বালু কাটি কি করিবো সেটা তোকে বলতে হবে বলে হটাৎ মারমুখী হয়ে উঠেন এবং বিভিন্ন অকট্রো ভাষায় গালাগালি করে হুমকি দিয়ে বলেন, তোমার মত কতজন এখানে এসে আমাদের দেইখ্যা কথা বলার সাহস পায়না। আর একটু সময় দাড়িয়ে থাকলে কথা বল্লে হাত পা ভেঙ্গে তোমার অবস্থা খুব খারাপ করে নদীর মধ্যে ফেলাই দিমু। সাহস থাকলে গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে দেখা, কি করি। তোমরা কেন? তহসিলদার, এসিল্যান্ড, ইউএনও সহ আমার কিছু করতে পারবে না। রাস্তা ঘাটে আমার লোক রাইখ্যা আমি এই মাটি বালুর ব্যবসা করি। তোমার কত পাওয়ার আছে তুমি দেখাতে পার।
এলাকাবাসী তাদের এমন আচরনে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, মাটির রাস্তা দিয়ে মাটি বালু ভর্তি ভারী টলি বেপরোয়া ভাবে চালায়। শুকনো মৌসুমে এসব গাড়ি রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় উড়ে আসা ধূলোময়লা পথচারীদের জামা কাপড়, শরীর এমন কি উড়ে আসা ধূলো বালুর কবল থেকে রক্ষা পায়না মূল্যবান চক্ষু। এসব বিষয়ে কথা হলে তারা বলেন, আমাদের গাড়ি এসব রাস্তা দিয়ে চলাচলের পারমিশন আছে। রাস্তা চেয়ারম্যান ও সরকার বেঁধে দিবে। এলাকায় বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যাক্তির নাম ভাঙ্গার কারণে আমরা তাদের কিছুই বলতে সাহস পাইনা।
এবিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, নদীর চর, নদীর পাড় এমন কি জমির মাটি ও বালু কেটে বিক্রি করার কোন আইন নেই। বিষয়টি আমি ইউএনও স্যারকে অবগত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিব।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তহসিলদার এর সাথে কথা বলে বিষয়টি আমি দেখতেছি।