মামুনার রশিদ মিঠু,নীলাফামারী:নীলফামারীতে গত এক সপ্তাহ ধরে পেট্রোলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছিল। তবে আজ ভোর রাতে বিভিন্ন ডিপো থেকে পাম্প গুলোতে তেল সরবরাহ করায় অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। এবং আগামীকালের মধ্যে সম্পুর্ন স্বাভাবিক হওয়ার আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
গত এক সপ্তাহ থেকে চেলের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না পাওয়ায় নীলফামারীতে জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছিল। তেলের মজুদ শেষ হওয়ায় এই সংকট তীব্র হয়ে উঠে জেলার ৬ উপজেলার ৩৬ টি ফুয়েল ষ্টেশনে। এতে পরিমান মত জ্বালানি না পাওয়া আর খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পরেছিলেন চালক সহ সাধারন মানুষ।
তবে (৮ মে) দিবা গত রাতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের বাঘাবাড়ি ডিপো ও পার্বতীপুর ডিপো থেকে তেল সরবরাহ করায় জেলায় তেলের সংকট কিছুটা কমে যায়। আগামীকালের মধ্যে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশা করছে ব্যবসায়ীরা। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় পাম্প গুলোতে ভীর জমেছে মটর সাইকেল সহ অনান্য পেট্রোল চালিত যানবাহনের। তবে জেলার মুল চাহিদার ৩০ শতাংশ তেল সরবরাহ হওয়ায় ভোক্তা চাহিদা অনুযায়ী তেল সরবরাহ করতে না পারায় এখনো হতাশ পাম্প কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তারা।
জেলা শহরের মুক্তা ফিলিং ষ্টেশনের দায়িত্বরত ম্যানেজার মহেন্দ্র নাথ মনি বলেন, ভোর রাতে বাঘাবাড়ি ডিপো থেকে ৩ হাজার লিটার পেট্রোল ও ১৫০০ লিটার অকটেন সরবরাহ করা হয়। তবে আমাদের চাহিদার থেকে কম সরবরাহ হওয়ায় ভোক্তা চাহিদা মেটাতে একটু সমস্যা হচ্ছে।
নীলসাগর ফিলিং ষ্টেশনের ম্যানেজার জিকরুল হক জানায়, পার্বতীপুর ডিপো থেকে তাদের ৪ হাজার লিটার অকটেন সরবরাহ করা হয়। এতে ভোক্তা চাহিদা অনুযায়ী তেল প্রদান করতে পারছেন না তারা। তবে আগামীকালের মধ্যে এই সমস্যা সমাধান হতে পারে ।
এ বিষয়ে নীলফামারী পেট্রোলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আখতার হোসেন স্বপন জানান, জেলার প্রতিদিনে মোট জ্বালানি তেলে চাহিদা প্রায় ৮০ হাজার লিটার। ভোর রাতে মূল চাহিদার ৩০ শতাংশ সরবরাহ করা হয়েছে। এতে সংকট কিছুটা কমেছে। আসা রাখি আগামী কালের মধ্যে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।