নূর মোহাম্মদ সুমন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির ও উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপদ সীমা ছুঁই ছুঁই অবস্থা। সোমবার সকালে বিপদসীমার ৫ সেঃমিঃ নিচ দিয়ে তিস্তার পানি প্রবাহিত হচ্ছছিল। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে পানি প্রবাহ কিছুটা কমে ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। টানা বৃষ্টির কারণে ডিমলা উপজেলার নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। তিস্তার চরাঞ্চচলের বসতবাড়িতেও পানি প্রবেশর উপক্রম। অনেক চর এলাকার ফসল ও বীজতলা পানির নিচে বন্দী হয়ে পড়েছে। অববাহিকায় পানির উচ্চতা বেড়েছে। পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারেজের সবকটি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানিয়েছে যেকোনো সময় পানি আবার ও বাড়তে পারে। এ কারনে ওই সব এলাকায় হলুদ সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ভোগান্তিতে পরেছে তিস্তাপাড়ের মানুষ। চর এলাকায় চাষাবাদের জন্য বসবাসরত লোকজন উচু এলাকায় চলে আসছেন।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা জানিয়েছেন, ডালিয়ার তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দোমহনী বন্যা পুর্বাভাস ও বন্যা সর্তকীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে তিনি জানান, সিকিম, দার্জিলিং পাহাড়ে ও সমতলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি কারণে গজলডোবা ও মেখলিগঞ্জ (বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত) তিস্তা ব্যারেজে বেশ কিছু জলকপাট খুলে রেখেছে তারা। এইজন্য তিস্তা নদীর পানি একটু বেশি। তবে এখনে বন্যার কোন পূর্বাভাস নেই।