খেলার ধারার বিপরীতে আচমকা এক গোলে পাক দি ফ্রাঁস থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে ফেরার আশা জাগায় লিঁও। শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে দারুণ শুরু করা পিএসজিকে পথ দেখালেন নেইমার। শেষ সময়ে ব্যবধান গড়ে দিলেন মাউরো ইকার্দি। ঘুরে দাঁড়িয়ে দারুণ এক জয় পেল মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল। ঘরের মাঠে রবিবার রাতে লিগ ওয়ানের ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে পিএসজি।
ম্যাচটিতে গোল পাওয়া ছাড়া সবই করেছেন মেসি। বিশেষ করে প্রথমার্ধে লিওনেল রক্ষণভাগকে রীতিমতো নাচিয়েছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। কিন্তু কখনো ডিফেন্ডার জেসন ডেনায়ার, আবার কখনো অ্যান্থনি লোপেজ দুর্দান্ত ক্ষিপ্রতায় ঠেকিয়ে দেন মেসির প্রচেষ্টা। ফলে গোলবঞ্চিতই থাকতে হয় মেসিকে।
ম্যাচের ৩২ মিনিটের সময় নেইমারের ব্যাক হিল থেকে দারুণ জায়গায় বল পেয়ে যান মেসি। জায়গা করে দূরের পোস্টে শট নেন তিনি। আগেই ঝাঁপ দেয়া লোপেজ শেষ মুহূর্তে পায়ের আলতো টোকায় কর্নান কিকের বিনিময়ে বাঁচিয়ে দেন সেই শট। এর আগে ম্যাচের শুরুর দিকে মেসির শট ব্লক করেন ডেনায়ার।
কিন্তু ৩৭ মিনিটে লোপেজ বা ডেনায়ারের কিছুই করার ছিল না। ডি-বক্সের বাইরে ফাউলের শিকার হন নেইমার, ফ্রি কিক পায় পিএসজি। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে নেয়া ফ্রি কিকে মানব দেয়ালকে পরাস্ত করার পাশাপাশি লোপেজকেও হার মানান মেসি। কিন্তু সেই শট প্রতিহত হয় ক্রসবার ও পোস্টের সংযোগস্থলে। ফলে হাতছাড়া হয় সুবর্ণ সুযোগ।
পিএসজির আধিপত্য থাকলেও গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয় ম্যাচের প্রথমার্ধ। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে উল্টো প্রথম গোল করে বসে লিওন। পাল্টা আক্রমণে উঠে একাম্বির পাস ধরে জিয়ানলুইজি ডনারুম্মাকে বোকা বানিয়ে দলকে এগিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার লুকাস পাকুয়েতা। তবে লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা।
প্রথম গোল করার মিনিট দশেকের মধ্যে ডি-বক্সের মধ্যে নেইমারকে ফেলে দেন লিওন ডিফেন্ডার মালো গুস্তো। দলে এমবাপে-মেসির মতো নিয়মিত পেনাল্টি টেকাররা থাকলেও, শট নিতে দেয়া হয় নেইমারকেই। স্পট কিক থেকে ম্যাচে সমতা ফেরাতে কোনো ভুল করেননি ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার।
দলকে এগিয়ে দেয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। ম্যাচের ৭৪ মিনিটের সময় নেইমারের সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান করে এগিয়ে গিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন তিনি। পরের মিনিটেই তাকে উঠিয়ে নেন পিএসজি কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনো। এ সিদ্ধান্ত মনঃপুত ছিলো না মেসির, যা বোঝা যাচ্ছিল তার অভিব্যক্তিতে।
মেসিকে তুলে নেওয়ার খানিক পর আরেক আর্জেন্টাইন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার জায়গায় তারই স্বদেশি ইকার্দিকে নামান পচেত্তিনো। ম্যাচের অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে সেই ইকার্দিই করেন জয়সূচক গোল। কাইলিয়ান এমবাপের দারুণ ক্রসে নিখুঁত হেডে পিএসজিকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন ইকার্দি।
এ জয়ের পর শীর্ষস্থান আরও সুসংহত হয়েছে পিএসজির। এখনও পর্যন্ত খেলা ছয় ম্যাচে পূর্ণ ১৮ পয়েন্ট পেয়েছে তারা। সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ৯ নম্বরে অবস্থান করছে লিওন।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]