অলিম্পিক মার্শেই ও প্যারিস সেন্ত জার্মেইর লড়াইয়ের শৈল্পিক নাম ‘লে ক্লাসিক’। অবশ্য নামটা শৈল্পিক হলেও লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি। ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মার্শেই। শীর্ষে পিএসজি। দুটি দল রোববার দিবাগত রাতে মুখোমুখি হয়েছিল ক্লাসিকে। তবে নেইমার দ্য সিলভা জুনিয়র ও কালিয়ান এমবাপের গোলে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে পিএসজি।
এই জয়ে মার্শেইর চেয়ে ১৫ পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে গেলো মাউরিসিও পচেত্তিনোর শিষ্যরা। ৩২ ম্যাচ থেকে পিএসজির সংগ্রহ ৭৪ পয়েন্ট। সমান ম্যাচ থেকে মার্শেইর সংগ্রহ ৫৯ পয়েন্ট। আর দুটি ম্যাচ জিতলেই লিগ ওয়ানের শিরোপা জয় নিশ্চিত হয়ে যাবে পিএসজির এবং সেটা আগামী সপ্তাহেই হয়ে যেতে পারে।
ঘরের মাঠে ১২ মিনিটেই এগিয়ে যায় পিএসজি। এ সময় লম্বা পাসে বক্সের মধ্যে বল পাঠান মার্কো ভারেত্তি। তার উড়ে আসা বলে পেনাল্টি স্পটের সামনে থেকে লব শটে গোলরক্ষক পাউ লোপেজের মাথার ওপর দিয়ে জালে পাঠিয়ে গোল করেন নেইমার।
অবশ্য ৩১ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরায় মার্শেই। এ সময় কর্নার থেকে উড়ে আসা বল জটলার মধ্যে ধরতে পারেননি পিএসজির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোনারুমা। একেবারে গোললাইনের সামনে থেকে আলতো টোকায় বল জালে পাঠান মার্শেইর দুজে কালেটা-কার।
এরপর মেসি অবশ্য গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু সেটি কাজে লাগেনি।
তবে বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান আবার বাড়ায় পিএসজি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে (৪৫+৫) নেইমারের নেওয়া শট হাতে লাগে বক্সের মধ্যে থাকা মার্শেইর ভ্যালেন্তিনা রনিগিয়ের। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান।
পেনাল্টি থেকে এমবাপে গোল করেন। যা ছিল লিগ ওয়ানে চলতি মৌসুমে তার ২১তম গোল।
বিরতি থেকে ফিরে ৭৫ মিনিটে লিওনেল মেসির অ্যাসিস্টে আরও একবার জালে বল জড়িয়েছিলেন এমবাপে। কিন্তু সেটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। ৮৫ মিনিটে মার্শেইর উইলিয়াম সালিবা জালের নাগাল পেয়েছিলেন। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটিও বাতিল হয়।
শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মেসি-নেইমার-এমবাপেরা।