বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া সপ্তম দেশ ছিল নেপাল। পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের যথেষ্ট ভাল সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও তারা বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। সেই ঘটনার পরে বেশ কিছুদিন পাকিস্তান আর নেপালের সঙ্গে সব কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছিল।
নেপাল আর বাংলাদেশ প্রথমবার ১৯৭৬ সালে বাণিজ্য, ট্রানজিট, অসামরিক বিমান পরিবহনসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে চুক্তি করে। ১৯৭৮ সালে দুটি দেশের অর্থমন্ত্রীদের মধ্যে নেপাল-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সহযোগিতার চুক্তি হয়। ১৯৯৭ সালে কাকরভিটা-ফুলবাড়ি-বাংলাবান্ধা ট্রানজিট রুট চালু হয় আর একই সঙ্গে নেপালকে মংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেয় বাংলাদেশ।
কিন্তু ভারত -নেপাল আর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নেপালি রপ্তানিকারকদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল বলে বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর খুব একটা ব্যবহার করতে পারতেন না তারা।
ইনস্টিটিউট অফ সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের একটা প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৯ সালে নেপাল থেকে বাংলাদেশে এক কোটি ২০ লক্ষ ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল, যেখানে বাংলাদেশ থেকে নেপালে রপ্তানি হয়েছিল চার কোটি ৮৬ লাখ ডলারের পণ্য।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের কথায়, দুটি দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিমাণ খুবই কম। তিনি এও বলছেন যে নেপালের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা খুবই কম আবার বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল নেপালের কাছে অনেক পরিমাণে উৎপাদিত হয়।