নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা থেকে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে নোয়াখলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান শরীফকে আটক করেছে চাটখিল থানা পুলিশ।
বুধবার(২১ অক্টোবর) দুপুরে ভিকটিম বাদি হয়ে চাটখিল থানায় মামলা করলে পুলিশ তাকে স্থানীয় ইয়াছিন হাজির বাজার থেকে আটক করা হয়।
শরিফ বুধবার (২১ অক্টোবর) ভোরে নোয়াখলা গ্রামের প্রবাসী নুর আলমের স্ত্রীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ২ শিশু সন্তানের সামনে ধর্ষণ করেছে। সে নোয়াখলা গ্রামের ওয়াছির বাড়ীর রফিক উল্যার ছেলে এবং উপজেলার ৮নং নোয়াখলা ইউনিয়ন (পশ্চিম) যুবলীগের সভাপতি। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অনেক মামলা রয়েছে।
প্রায় দু’বছর আগে পুলিশ পরিচয়ে ঘরে ঢুকে এক কিশোরীকে ধর্ষন করে আলোচিত হন এই শরীফ।
স্থানীয় সূত্র এবং থানায় ধর্ষিতার দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, বুধবার ভোর ৫টার সময় সন্ত্রাসী শরিফ একই বাড়ীর প্রবাসী নুর আলমের ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে পড়ে। ঘরের ভিতরে প্রবাসীর স্ত্রীর শয়ন কক্ষে গিয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে তাকে বিবস্ত্র করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষিতার ২ শিশু সন্তান জেগে থাকলেও তাদের সামনেই তাদের মাকে ধর্ষণ করে। এ সময় শরিফ বাহিনীর কয়েকজন সশস্ত্র ক্যাডার ঘরের চারপাশে পাহারা দিতে থাকে। তাদের ভয়ে বাড়ির লোকজন কেউ এগিয়ে আসেনি।
শরিফের বিরুদ্ধে থানায় ও কোর্টে ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, টেন্ডারবাজি সহ অনেক মামলা থাকলেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে তাকে এতদিন গ্রেফতার করেনি। ইতোপূর্বে তার বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ হলে আওয়ামী যুবলীগের প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দ তার পক্ষ নিয়ে চাটখিলে মানববন্ধন করে এর প্রতিবাদ জানায়। নোয়াখলা ইউনিয়ন সহ চাটখিল দক্ষিণাঞ্চলে শরিফ ও তার বাহিনীর সদস্যদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে এলাকাবাসী। এ বাহিনীর বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।
শরীফের বিরুদ্ধে এর আগেও কয়েকটি ধর্ষন মামলাসহ ৭/৮ টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
চাটখিল থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি জানান, এ ঘটনায় ভিকটিম অভিযোগ করার সাথে সাথে আমরা অভিযান চালিয়ে আসামীকে গ্রেফতার করেছি। শরিফের সহযোগীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।