মোরশেদ আলম,পটিয়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি, দৈনিক শিরোমণিঃ পটিয়ায় তিন ছিনতাইকারীকে ধৃত করে পুলিশে দিলেন জনতা। গত সোমবার রাত ১১টায় পটিয়া উপজেলার মুজাফফরাবাদ এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ সূত্রে জানাযায়। স্থানীয় জনতা কর্তৃক ধৃত ছিনতাইকারীরা হলেন, পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের এরশাদুর রহমানের পুত্র শাকিল রহমান খোকন (২২), জিন্নাতুর রহমানের পুত্র আরাফাত রহমান (২১) ও ৬নং ওয়ার্ড দানু মেম্বার বাড়ি আবু তালেব এর পুত্র মো: রাসেল (১৮)।প্রত্যাক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনবাদ এলাকার মো: ছৈয়দের স্ত্রী হেনা আকতার তার মেয়েকে রাবেয়া সুলতানা (১৮) কে চিকিৎসার জন্য পটিয়া নিয়ে আসেন। পটিয়া শেভরণে ডাক্তার দেখিয়ে রাত সিএনজি যোগে চন্দনাইশ বাড়িতে যাওয়ার পথে মুজাফরাবাদ এলাকায় সিএনজি চালকসহ দুই যুবক তাদের চাকু ধরে। এ সময় তাদের শো চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে হাতে নাতে সিএনজি ও চাকুসহ তিন যুবককে আটক করে। পরে স্থানীয়রা পটিয়া থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়, পটিয়া পৌরসভা ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ইদানিং চুরি, ছিনতাই, মাদক, ইয়াবা, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরাধে জড়িত বেশিভাগ কিশোর গ্যাং এর সদস্য। এ সকল কিশোর গ্যাং গুলো নিয়ন্ত্রণ করছে স্থানীয় কিছু অসাধু জনপ্রতিনিধিরা। তাদের চত্রছায়া পটিয়ায় দিনদিন কিশোর গ্যাং সদস্যদের দাপটে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে সাধারন জনগন। কিশোর গ্যাং অবস্থান পটিয়া আমির ভান্ডার রেলগেইট, স্টেশন, বিওসি রোড, বাসস্টেশন, বাহুলী, আল জামেয়া মাদ্রসা রোড, ফল¬াইতলী, আনোয়ারা রোড, হাইদগাঁও মরাখাল, তেতুলতল, পানবাজারসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে কিশোর গ্যাং এর দৌরান্ত্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়ে নজরদারী বৃদ্ধি’র জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে স্থানীরা।এ বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনায় সিএনজি ও চাকুসহ তিন যুবকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করলে বিচারক তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।