মোরশেদ আলম, পটিয়া(চট্টগ্রাম) দৈনিক শিরোমণিঃ চট্টগ্রামের পটিয়ায় সাংবাদিক গোলাম কাদেরের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে রবিবার রাতে। আহত সাংবাদিক গোলাম কাদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। হামলার জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে, পটিয়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সাংবাদিক গোলাম কাদের চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দৈনিক চট্টগ্রাম মঞ্চ ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ এর পটিয়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। রবিবার রাতে প্রতিদিনের মত অফিসের কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা পথে আটকে দা কিরিচ দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। হামলার ঘটনায় রাতে সাংবাদিক গোলাম কাদেরের ভাই নুর কাদের বাদী হয়ে পটিয়া থানায় আবছার উদ্দীন প্রকাশ কানা আবছার(৪৫), সাজ্জাদ হোসেন হিরু(৩৪), শাহজাহান মিন্টু(৪০), ইমরান হোসেন(২৮) ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানায়, রাত ৮টায় মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পটিয়া সদরের গৌবিন্দারখীল এলাকার গোলাম সওদাগরের বাড়ি ব্রীজের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে মামলার বাদী ও সাংবাদিক গোলাম কাদেরের ভাই নুর কাদের বলেন, আমাদের সাথে প্রতিপক্ষের সাথে জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে একাধিবার বৈঠকও হয়েছে, তারা কোন আইন আদালত মানবে না কোন বৈঠকও মানবে না, তারা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্ঠা করেন বলে দাবি করেন এবং ইতিপূর্বে আমার ভাইকে খুন করার পরিকল্পনা বিষয় নিয়ে থানায় দুইটি জিডি করেন আর কল ভয়েজ রেকর্ড ওসিকে জমা দেন।। হামলার খবর পেয়ে হাসপাতালে দেখতে যান সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, পটিয়া পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল, কাউন্সিলর বুলবুল আকতার, পটিয়া পৌরসভা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক জমির উদ্দীন, রিভিউ হিউম্যান রাইটস উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের চৌধুরী, সহ সভাপতি সাইফুর রহমান ও সাংবাদিক সেলিম চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক মো. হারুনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া সংগঠনের প্রতিনিধিরা হামলায় গ্রেফতারের দাবি জানান। এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাঊল করিম মজুমদার বলেন, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত চলছে, তবে সাংবাদিক পরিবারের সাথে যারা হামলা চালিয়েছে তাদের সাথে জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে বলে তিনি জানান।