মোঃ যুবরাজ মৃধা পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: বৈশাখী মেলা নববর্ষের একটি উৎসব। নববর্ষ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে এই মেলা বসে। এটি বৈশাখের প্রথম দিনে (মাসের) অনুষ্ঠিত হয়। এই মেলার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। মেলা প্রতিদিন, সপ্তাহ বা মাসে অনুষ্ঠিত হয়। বৈশাখী মানুষের আনন্দ-উচ্ছ্বাসের উৎসব। এটি বাঙালি জাতীয় ঐতিহ্যের প্রতীক। অনাদিকাল থেকে এদেশে বৈশাখী মেলা হয়ে আসছে। এই উপলক্ষে বিভিন্ন উৎসব, অনুষ্ঠান এবং প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও ঘোড়দৌড়, কুস্তি এবং বোটিং রয়েছে। বৈশাখী মেলা সাধারণত পটুয়াখালী সদর ডিসি মঞ্চে দেখা যায়। প্রতি বছর সকালের অধিবেশন হয়। নদীর তীরে বাজার, গ্রামের বাজার, মন্দির চত্বরেও মেলা বসে। মেলায় লাইকারণ্যে আমন্ত্রিত হয় লেক। এই মেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, অনেক ধরনের কুটির শিল্প, খেলনা এবং অন্যান্য পণ্য রয়েছে। এছাড়াও যাত্রা, পুতুল নাচ এবং নগর দোলের মতো অনেক অনুষ্ঠান রয়েছে। মেলায় অনেক মিষ্টি পাওয়া যায়। নতুনদের স্বাগত জানাতেই এই মেলা তৈরি করা হয়েছে। এমেলা কোনো ধর্মীয় বিশ্বাসের চর্চা করেন না। এটাকে একটা পাবলিক ইভেন্ট করা হয়েছে। এটি জাতি, ধর্ম বা বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের জন্য উন্মুক্ত একটি ইভেন্ট হয়ে উঠেছে। এটা মানুষের চেতনা জাগায়। এই মেলা সব দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বাঙালি ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করতে অনুপ্রাণিত বোধ করি। যদিও বিষয়টি নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। এবার চলছে মুসলমান ধর্মাবলম্বিদের সিয়াম সাধনার মাস চলায় এসব আচারে পড়বে ভাটা।