আবদুল্লাহ আল মামুন,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিদৈনিক শিরোমণিঃ
পটুয়াখালীতে স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কেটে ফেলে দেয়ার অভিযোগে,স্ত্রী হাসি বেগম নামের এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।আহত ব্যাক্তি মোঃ কবির হোসেন তালুকদার, ২ নং বদরপুর ইউনিয়নের হকতুল্লাহ গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মোছলেম তালুকদারের ছেলে।তিনি পেশায় পল্লীবিদ্যুৎ লাইনের ফোরম্যান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।উল্লেখ্য, গত ১৮’মে দিবাগত রাত আনুমানিক ২ টার সময় বদরপুর ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামে একটি ভাড়াটিয়া বাসায় এ ঘটনাটি ঘটে।এবিষয়ে চাচাতো ভাই মোঃ মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ১৯’মে পটুয়াখালী সদর থানায় হাসি বেগম ও তার সঙ্গে সহযোগী অজ্ঞাত উল্লেখ করে লিখিত এজাহার দায়ের করেন।এজাহারের ভিত্তিতে আাসমি হাসিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।এজাহার সুত্রে, কবির ও তার স্ত্রী হাসি বেগমের সঙ্গে ১৪/১৫ বছর পুর্বে ইসলামিক শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয়। তাদের ঔরসে ১৩ বছর ও ১ বছরের দুটি সন্তান রয়েছে।কবির পল্লীবিদ্যুতের কাজে বিভিন্ন সময় বাড়ির বাহিরে থাকতেন।পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয় এবং এনিয়ে স্ত্রী হাসি বেগম প্রায় সময় কবিরকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতো।গত ১৮’মে মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৮ টার সময় বাজার নিয়ে বাসায় আসেন কবির।আসামি ও অজ্ঞাতনামা আসামিদের প্রোরোচনায় ও সহায়তায় রাতের খাবারের সঙ্গে গ্যাস্টিক ও ঘুমের ঔষধ খাইয়ে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে কবিরকে হত্যার উদ্দেশ্য অচেতন করে বটি দিয়ে তার পুরুষ লিঙ্গ কেটে বাতরুমের ভিতরে ফেলে দেয়। আনুমানিক রাত ২ টার দিকে হঠাৎ তার ঘুম ভেঙে যায়। তখন সে পুরুষাঙ্গের স্থান থেকে রক্ত বের হতে দেখে।সেই সময়ও আসামি হাসি তাকে খুন করে পাশের নদীতে ফেলে দেয়ার হুমকি দেয়।তখন জীবন রক্ষার্থে দৌড়ে গিয়ে প্রতিবেশী শামীমদের বাড়ি আশ্রয় নেয়। পরে প্রতিবেশীরা দ্রুত পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা-বিশিষ্ট সদর হসপিটালে এনে ভর্তি করেন।অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।সেখানকার চিকিৎসক অবস্থার অবনতি দেখলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকায় রেফার্ড করনে।এদিকে আসামি হাসি বেগম তার অপরাধ স্বীকার করে বলেন, গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করার অপরাধের কারনেই একাজ করেছেন তিনি।এব্যাপারে আহত কবিরের চাচাতো মিজানুর রহমান ও পিতাঃ মোছলেম তালুকদার বলেন, হাসি বেগমের সঙ্গে প্রাইভেট মাষ্টারের অবৈধ সম্পর্কের কথা জেনে ফেলায় কবিরকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করা হয় বলে মিডিয়াকে জানান।এনিয়েই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিরোধ চলছিলো, তবে সম্প্রতি আমরা জেনেছি কবির দ্বিতীয় বিবাহ করেছেন।এবিষয়ে আহত কবিরের পিতাঃ মোছলেম তালুকদার বলেন, ছেলের বউ আসামি হাসির পিতাঃ ইব্রাহিম একজন জঘন্য লোক সে বিভিন্ন স্থানে মোট ৯ টি বিয়ে করেছে তাই বলে কি তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে।এঘটনা পরিকল্পিত ছেলের বউ হাসি একা করতে পারেনা ঘটনার সাথে হাসির বাবা ইব্রাহিম ও চাচারাও জড়িত রয়েছে বলে জানান। আইন হাতে তুলে নিয়ে যে জঘন্যতম অপরাধ করছে তা হত্যার চেয়ে কম না। তাই প্রচলিত আইনের মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িত থাকা ব্যাক্তিদেরকেও আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন।অন্য দিকে আহত কবিরের দ্বিতীয় স্ত্রী কবিতা বেগম বলেন, আমি অন্তঃসত্ত্বা এ অবস্থায় আমার স্বামীকে যারা পঙ্গু করেছে তাদের কঠোর বিচারের দাবি জানান।ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আখতার মোর্শেদ জানান, এ ব্যাপারে থানায় হাসি বেগমের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে তাকে আটক করেছে পুলিশ। তবে কবিরের শরীর থেকে কেটে ফেলা ‘পেনিস’ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান তিনি।
৩৭ views