কানাইঘাট প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ সিলেটের কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের দনা সীমান্তের মিকিরপাড়া এলাকায় গত বুধবার সকাল থেকে ১৩৩১ মেইন পিলারের পাশে ছড়ায় পড়ে থাকা ২ বাংলাদেশী যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ এখনও পড়ে রয়েছে। জানা যায়, লাশ হস্তান্তর নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সোয়া ২ টার দিকে সীমান্তের ১৩৩১ মেইন পিলারের পাশে বাংলাদেশ ও ভারতের নোমেন্সল্যান্ড এলাকায় বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে আধা ঘন্টা পতাকা বৈঠক হলেও ফলপ্রসু কোন সমাধান হয়নি। পতাকা বৈঠকে উপস্থিত থাকা লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডাক্তার ফয়াজ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পতাকা বৈঠকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বিএসএফ ছড়ায় পড়ে থাকা এরালীগুল গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের পুত্র আসকর আলী (২৫) একই গ্রামের আব্দুল হান্নানের পুত্র আরিফ হোসেন (২২) কে হত্যার দায় তারা স্বিকার করেনি। যার কারণে পতাকা বৈঠকে কোন সমাধান হয়নি। অপরদিকে বাংলাদেশের পক্ষে পতাকা বৈঠকে উপস্থিত বিজিবির কর্মকর্তারা নিহত ২ যুবকের লাশ ভারতের সীমানার ভিতরে পড়ে রয়েছে দাবী করে বিএসএফ এ হত্যার দায় স্বিকার না করায় লাশ উদ্ধার প্রক্রিয়া তারা প্রত্যাখান করেন, যার কারণে পতাকা বঠৈক ব্যার্থ হয় বলে চেয়ারম্যান ফয়াজ উদ্দিন জানান। তবে পতাকা বৈঠক নিয়ে দনা বিজিবি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডারের সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যার কারণে বিজিবির কর্মকর্তার কাছ থেকে লাশ উদ্ধার প্রক্রিয়া নিয়ে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জানা যায়, যেখানে আসকর ও আরিফের লাশ পড়ে রয়েছে, সেখানে বিজিবির সার্বক্ষণিক টহল জোরদার রয়েছে। পাশাপাশি কানাইঘাট থানার এসআই রাম চন্দ্র দেব সেই এলাকায় একদল পুলিশ নিয়ে অবস্থান করছেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ভারতের বিএসএফ হত্যার দায় অস্বিকার ও লাশ হস্তান্তরে কোন ধরণের সহযোগিতা না করায় সরকারের উচ্চ মহলের সিদ্ধান্তে লাশ উদ্ধারের ব্যাবস্থা নেওয়া হবে এমন খবর পাওয়া গেছে। এব্যাপারে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম পিপিএম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নিহত দুই যুবকের লাশ হস্তান্তর নিয়ে এখনও কোন সমাধান হয়নি। সরকারের উচ্চ মহলের সিদ্ধান্তে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুলিশ ঘটনাস্থল এলাকায় রয়েছে। এদিকে গত মঙ্গলবার বিকেলের দিকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর বুধবার সকাল থেকে সীমান্তের ১৩৩১ মেইন পিলারের পাশে পড়ে থাকা গুলিবিদ্ধ আসকর ও আরিফের লাশ উদ্ধার প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হওয়ার কারণে স্থানীয় লোকজনদের মাঝে এক ধরণের ক্ষোভ বিরাজ করছে। নিহতদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। লাশ উদ্ধার না করার কারণে পঁচন ধরেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে স্থানীরা বারবার বলে আসছেন বিএসএফ অথবা ভারতের অস্ত্রধারী খাসিয়ারা অবৈধ ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের কারণে এই ২ যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে।