রেজিঃ নং ডিএ ৬০০৯ | বর্ষ ১৪ | ৪ পৃষ্ঠা ৩ টাকা || শুক্রবার | ২৯ নভেম্বর ২০২৪ | ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
পত্নীতলা মধুইল চৌধুরী পরিবারের একমাত্র মেয়ে কে নিয়ে প্রতারণার ফাঁদ
মাহমুদুন্নবী, পত্নীতলা ( নওগাঁ ) প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ নওগাঁ পত্নীতলার মধুইল চৌধুরী পরিবারের একমাত্র মেয়ে কে নিয়ে প্রতারণার ফাঁদ তৈরী করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।অভিযোগকারী চৌধুরী পরিবারের একমাত্র মেয়ে মোছাঃ ফৌজিয়া খাতুন জানান, আমি ডা. আফতার উদ্দীন এর একমাত্র কন্যা সন্তান। বাবা মারা যাবার পর ভাই বোনদের মাঝে বাবার সকল সম্পত্তি ভাগবাঁটোয়ারা করা হয়। সেই ভাগবাঁটোয়ারা দলিলে শুধু আমার অংশে গোজামিল রেখেছে। আমি গগনশর মৌজাতে জমি পাবো প্রায় এক একর। সেখানে আমাকে দিয়েছে ৬৬০০০+২৫০০০ বর্গ লিংক।আবার সেই জমিই তারা ৬ ভাই নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছে। জমির আর এস দাগ নং ১৩৩, আর এস খতিয়ান নং ১৫, জে এল নং ১৪৭। এই বানোয়াট ভাগবাঁটোয়ারা দলিল বাতিলের জন্য আমি নওগাঁ যুগ্ম কোর্টে মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং ৮০/২০২০।এব্যাপারে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে আঞ্চলিক দৈনিক জয়পুরহাট খবর ও একাধিক অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর মোছাঃ ফৌজিয়া খাতুন এর মেয়ে মোছাঃ ফারহানা কে তার ( ফৌজিয়া খাতুন) ভাই মোঃ আতোয়ার চৌধুরী মুঠোফোনে খারাপ ভাষায় কথা বলে এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেন।মোছাঃ ফৌজিয়া খাতুন এর মেয়ে মোছাঃ ফারহানা জানান,সংবাদ প্রকাশের পর আতোয়ার মামার সাথে মোবাইল ফোনে আমার কথা হয়। তখন মামা আমাকে বলে তোদের এসব করে কোন লাভ হবেনা। এখনো সময় আছে ভালো হয়ে যা। মামা আরে অনেক কিছু বলে যা মূখে প্রকাশ করা সম্ভব না।চৌধুরী পরিবারের একমাত্র মেয়ে মোছাঃ ফৌজিয়া খাতুন আরো জানান, আমি আমার ভাইদের অন্ধের মতো বিশ্বাস ও ভরসা করতাম। আমি তাদের সব ধরনের বিপদ - আপদ, সূখ - দুঃখে পাশে ছিলাম।আমি আমার ছোট ভাই মোঃ আব্দুস সালাম ( রুমিন চৌধুরী ) কাছে সারে ০৬ ভরি গহনা আমানত হিসাবে রেখেছিলা। হঠাৎ একদিন রাতে আমার ছোট ভাই মোঃ আব্দুস সালাম ( রুমিন চৌধুরী ) চিৎকার করে মাটিতে শুয়ে পড়ে। পাশের রুম থেকে আমার অন্য ভাইরা বের হয়ে দেখে বাহিরে সে পড়ে আছে। তাকে মাটি থেকে উঠায়ে জানা যায় বাড়িতে চোর এসে তাকে ছুঁড়ি ধরে তার রুমে প্রবেশ করে আমার ডেসিন টেবিল এর ডায়ার থেকে আমার আমানত রাখা গহনাগুলো নেয় ও তার একটি রেডিও নিয়ে চলে যায়। এটি আমরা প্রাথমিক ভাবে চুরির ঘটনা মনে করি। পরবর্তী তে আমার অপর এক ভাই মোঃ আখতারুজ্জামান চৌধুরী ( বাবু নেতা ) বলে, তোদের গহনা চুরি হয়নি, সেদিন রাতের ঘটনাতি ছিল পুরোটাই সাঁজানো। তোদের গহনা রাঙামাটি বিক্রি করা হয়েছে। তাছাড়া সালাম ( রুমিন চৌধুরী ) এর গলায় চোর যে ছুঁড়ি ধরেছিল এবং সেই ছুঁড়ি আমাদের বাড়িতে ফেলে গেছিলো, পরে জানতে পারি ছুঁড়ি সে নিজেই একটি দোকান থেকে বানিয়ে নিয়েছিল। আর সালাম ( রুমিন চৌধুরী) এর চুরি হওয়া রেডিও ফেরত পেলেও তোদের গহনাগুলো ফেরত পাওয়া যায়নি। এটা পুরোটাই ছিল সাজানো। তার ভাতিজা পরাগ যখন তাকে বলে, আপনার রেডিও পাওয়া গেলো কিন্তু গহনাগুলো পাওয়া গেলো না কেন? একথা বলার সাথে সাথে তাকে লোহার তৈরী ধারালো হাঁতিয়ার ছুড়ে মারে।মামাদের এমন ব্যবহারে ফৌজিয়া খাতুন এর বড় মেয়ে মোছাঃ রোকসানা পারভিন বলেন, আমার নানা ডা. আফতাব চৌধুরী তার ৬ ছেলে সন্তান কে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য অডেল টাকা পয়সা খরচ করেছেন। তাদের শিক্ষিত বানিয়েছেন বটে কিন্তু সু শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারেন নি। অর্থ্যাৎ তাদের কে মানুষের মতো মানুষ হিসাবে তৈরী করতে পারেন নি।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]
Copyright © 2024 দৈনিক শিরোমনি | shiromoni.com. All rights reserved.