দৈনিক শিরোমণি ডেস্ক রিপোর্ট : বেশির ভাগ জাহাজ খুলনা থেকেই যাত্রী নিয়ে সুন্দরবনের দিকে যায়। বাগেরহাটের মোংলা এলাকা থেকেও বেশ কিছু জাহাজ যায়। এদিকে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সুন্দরবনে ভ্রমণতরি বা ক্রুজ জাহাজ নামানোর পরিকল্পনা করছে।
সুন্দরবনে ভ্রমণ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মালিকদের সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবন সূত্রে জানা গেছে, অনেক ছোট-বড় প্রতিষ্ঠানের সুন্দরবনে পর্যটন প্যাকেজ আছে। বর্তমানে সংগঠনটির সদস্যসংখ্যা ৪৮। ওই সব অপারেটরের নৌযান রয়েছে ৫৭টি, এর মধ্যে ২০টিই বিলাসবহুল। গত দুই বছরে ৫টির বেশি বিলাসবহুল জাহাজ যুক্ত হয়েছে। এ বছর আরও অন্তত ১৫টি বিলাসবহুল জাহাজ যুক্ত হবে।
এসব জাহাজে তিন দিনের প্যাকেজ জনপ্রতি সাড়ে সাত হাজার টাকা থেকে শুরু হয়। প্যাকেজের আওতায় কেবিন, খাওয়া, বনে ভ্রমণ—সবই অন্তর্ভুক্ত।
খুলনা থেকে সকাল সাতটা-আটটার মধ্যেই জাহাজগুলো সুন্দরবনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। দুপুরের মধ্যে পশুর নদ দিয়ে সুন্দরবন অঞ্চলে ঢুকে পড়ে এসব জাহাজ। সুন্দরবন ভ্রমণের অন্যতম আকর্ষণ হলো ক্যানেল ক্রুজিং। অর্থাৎ সুন্দরবনের ভেতরে ছোট ছোট খালে ছোট নৌকায় করে ভ্রমণ। এতে পর্যটকেরা সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকলে বাঘ মামার দেখাও পেয়ে যান কেউ কেউ।