মোজাম্মেল হক, গোয়ালন্দ প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃ
নিখোঁজের দুইদিন পর রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ৫নং ফেরিঘাটের পল্টুনের তার ছিড়ে গাড়িসহ পদ্মায় ডুবে যাওয়া চালক মো. মারুফ হোসেন (৪৫) এর লাশ উদ্ধার করেছে রাজবাড়ী, গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স দুটি ইউনিট এবং দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের সময় গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ৭নং ফেরিঘাট থেকে প্রায় ১ কিঃ মিঃ দুরে ভাটির দিকে পদ্মা নদীতে একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা লাশটি উদ্ধার করে। পরে দৌলতদিয়া অপেক্ষমান থাকা তার দুই ভাই ও স্বজনদের খবর দেয় নৌ পুলিশের পরিদর্শক মো. মুন্নাফ আলী। নিহতের দুই ভাই নিশ্চিত করেন লাশটি তার ভাই মো. মারুফ হোসেনের। নিখোঁজ মারুফ সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার সুন্দরেরচক গ্রামের মৃত মানিক হোসেনের ছেলে। রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ডুবে যাওয়া মাইক্রোবাসের চালক মারুফ হোসেন নিখোঁজ থাকায় আমরা পদ্মা নদীতে নজর রেখেছিলাম। আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দৌলতদিয়া ছাত্তার মেম্বার এলাকার এক বাসিন্দার খবরের ভিত্তিতে দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাড়ি ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের দুটি ইউনিট যৌথভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত করেছেন এটি তার ভাইয়ের লাশ। তিনি বলেন উপজেলা প্রশাসনের সাথে পরামর্শ করে লাশটি পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।এসময় গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক খাঁন মামুন ও গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ্ আল তায়াবির এবং দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মো. মুন্নাফ শেখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নিহতের পরিবারকে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গার যায় মারুফ। সেখান থেকে ঢাকায় ফেরার পথে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ৫নং ফেরিঘাট থেকে গাড়ী সহ পদ্মায় ডুবে যায়। স্থানীয়রা জানান তার ছিড়ে যাওয়ার পর মারুফ গাড়ী থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরী দল দুই ঘন্ট চেষ্টার পর ফেরিঘাটের কিছু দূর থেকে গাড়ীটি উদ্ধার করে। গাড়ী উদ্ধার করতে পারলেও গাড়ীর চালকের সন্ধান পায়নি ফায়ার সার্ভিসের ডুবরী দল।
৪৯ views