অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক হাতেনাতে ধরা পরার পর পরিণতি কী হতে পারে, তা ভালো মতো টের পেলেন এক পাক পুলিশ কনস্টেবল। আর তার জন্য কড়া শাস্তি পেতে হলো কাসিম হায়াত নামে ওই পুলিশ কনস্টেবলকে। অভিযুক্ত কনস্টেবলের নাক, কান ও ঠোঁট কেটে দিলেন মহিলার স্বামী। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের এই ঘটনায় তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য।পাক পাঞ্জাব প্রদেশের পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লাহোর থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে ঝাং জেলায় মহম্মদ ইফতিখার নামে এক ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে পুলিশ কনস্টেবল কাসিম হায়াতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া ছাড়াও ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগ তোলে অভিযুক্ত মহম্মদ ইফতিখার। রবিবার কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় কাসিম হায়াতকে পাকড়াও করে ইফতিখার এবং তার দলবল। শাস্তি হিসেবে পুলিশ কনস্টেবলের নাক, কান এবং ঠোঁট কেটে দেয় তারা।পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ি ফেরার পথে হায়াতকে অপহরণ করে ইফতিখায় ও তার সঙ্গীরা। এরপর একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের নাক, কান ও ঠোঁঠ কাটে তারা। তার আগে কনস্টেবল কাসিম হায়াতকে শারীরিক নির্যাতনও করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্তরা সংখ্যায় ১২ জন ছিল বলে পাক পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।এদিকে গুরুতর জখম অবস্থায় ঝাং জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ওই কনস্টেবলকে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এর আগে, ইফতেখারের দাবি করেছিল যে ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে তার স্ত্রীকে অবৈধ সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করেছিল ওই পুলিশ কনস্টেবল। বেশ কয়েকবার যৌন সম্পর্ক স্থাপনেও বাধ্য করে পুলিশ কনস্টেবল কাসিম হায়াত। আর এই সম্পর্কের একটি ভিডিয়ো করে তার স্ত্রীকে ওই পুলিশ কনস্টেবল প্রায়ই ব্ল্যাকমেলিং করত বলে দাবি করে মহিলার স্বামী। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর গত জুলাই মাসে কাসিম হায়াতের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ইফতেখার।এদিকে কনস্টেবলের নাক, কান এবং ঠোঁট কাটার পর গা ঢাকা দিয়েছে ইফতিখার ও তার সহযোগীরা। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলমান রেখেছে পুলিশ। সূত্র : ডন