ধর্মঘটের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে রাজশাহীর অন্যান্য জেলার মতো জয়পুরহাটেও শুরু হয়েছে ধর্মঘট। জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসহ জেলার সকল বাসস্ট্যান্ডগুলো বন্ধ রয়েছে। কোনো ধরনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না।
সকাল থেকে জয়পুরহাটের একাধিক বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায়, বাসগুলো টার্মিনালে সারিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সাধারণ যাত্রীরা যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু কোনো ধরনের বাসের দেখা পাচ্ছেন না। স্বল্প দূরত্বের যাত্রীরা সিএনজি অটোরিকশা কিংবা ছোট ছোট যানে রওনা দিলেও দূরের যাত্রী ও ছাত্র-ছাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে।
খাইরুল ইসলাম নামের বগুড়ার এক যাত্রী বলেন, আজ সকালে বাস না পেয়ে রাজশাহী থেকে জয়পুরহাটে আসলাম খুব কষ্ট করে। এখানে এসেও দেখি কোনো বাস চলছে না। তাই সিএনজি করে বগুড়া যেতে হবে। এতে করে অনেক বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে। কেন এই পরিবহন ধর্মঘট? আমাদের মত সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ তৈরী তাদের কি লাভ? রাজনীতির মারপ্যাঁচে আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের কেন এমন দুর্ভোগে পড়তে হবে? এমন দুর্ভোগ আমরা আশা করি না।
বাস শ্রমিক নাঈম ইসলাম বলেন, করোনার লকডাউনে কাজ না পেয়ে অর্থের সংকট এখনও কুলে উঠতে পারি নি। তার মধ্যে আবার অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘট। গাড়ি চালাতে না পারলে কে আমাদের টাকা দিবে? আমরা খাব কিভাবে? পরিবারের সংসার খচর চলবে কিভাবে? ধর্মঘটে বড় সমস্যা আমাদের জন্য বেশি।
এদিকে, ধর্মঘটকে রাজশাহীর গণসমাবেশকে ঠেকানোর জন্য সরকারের নীলনকশা ও ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন জয়পুরহাটের বিএনপির নেতাকর্মীরা।
জয়পুরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ রানা প্রধান বলেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ ঠেকাতে ইতোমধ্যে শত শত নেতাকর্মীদের নামে পুলিশ স্বপ্রণোদিত হয়ে মিথ্যা মামলা করে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে। একইসঙ্গে পরিবহন ধর্মঘট ডেকে সাধারণ মানুষদের অসুবিধায় ফেলছে। ইতোমধ্যে হাজার হাজার নেতাকর্মী সমাবেশ স্থলের আশপাশে উপস্থিত হয়েছেন। ধর্মঘট দিয়েও গণসমাবেশে মানুষের উপস্থিতি কমাতে পারবে না।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জয়পুরহাট মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক রফিক জয় বলেন, ১০ দফায় আমরা পূর্বেই আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। আমরা রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলাম। তারই প্রেক্ষিতে আমাদের এই ধর্মঘট। কারো সমাবেশের জন্য এই ডাকা হয়নি।