এক গোল করতে পারলেই নতুন রেকর্ড গড়তে পারতেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। আলী দাইয়িকে টপকে হতেন আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতা। সেই সঙ্গে পর্তুগালকে শেষ আটে তোলারও সুযোগ থাকতো। কিন্তু কোনোটিই হয়নি! ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছে পর্তুগিজরা। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ১-০ গোলে হারিয়ে বেলজিয়াম পৌঁছে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে এডেন হ্যাজার্ডদের প্রতিপক্ষ আরেক জায়ান্ট ইতালি।
স্পেনের সেভিয়ের ম্যাচের প্রথমার্ধে শুরু থেকে রয়েসয়ে খেলার চেষ্টা করেছে দুই দল। বল দখলে প্রায় সমানে সমান। নিজেদের রক্ষণ অটুট রেখে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করেছে তারা। ম্যাচ ঘড়ির ৬ মিনিটে পর্তুগাল আক্রমণে যায়। দিয়োগো জোতার পাসে রেনাতো সানচেসের শট দূরের পোস্ট দিয়ে যায়। ২৫ মিনিটে রোনালদোর ফ্রি কিক গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দিলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি পর্তুগিজদের।
বেলজিয়ামও আক্রমণে উঠেছে। ৩৭ মিনিটে টমাস মিউনিয়ারের শট দূরের পোস্ট দিয়ে গেলে হতাশই হতে হয়। তবে ৫ মিনিট পর বেলজিয়ানদের মুখে হাসি ফোটে। থরগান হ্যাজার্ডের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া বুলেট গতির শটে জাল কেঁপে ওঠে। গোলকিপার রুই পাত্রিসিও ঝাঁপিয়ে পড়েও শেষরক্ষা করতে পারেননি।
এক গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতির পর পর্তুগাল সমতায় ফেরার বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় কিংবা গোলকিপার কোর্তোয়ার দৃঢ়তায় জাল কাঁপানো যায়নি।
পর্তুগাল ৫৮ মিনিটে গোল শোধ দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করে। রোনালদোর পাসে জোতা বক্সের ভেতরে থেকে বারের ওপর দিয়ে বল মেরে সুযোগ নষ্ট করেন। এরই ফাঁকে বেলজিয়াম ৬৩ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পায়।যদিও এডেন হ্যাজার্ডের পাসে রোমেলু লুকাকুর শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেলে গোল পাওয়া হয়নি।
শেষ ১৭ মিনিটে পর্তুগাল গোল শোধ দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। ৭৩ মিনিটে রোনালদোর ফ্রি কিক বেলজিয়ামের মানবদেয়ালে বাধা পায়। ৮২ মিনিটে কর্নার থেকে রুবেন দিয়াসের হেড গোলকিপার কোর্তোয়া ফিরিয়ে দেন।
আর ৮৩ মিনিটে গুরেইরোর শট পোস্টের নিচে লেগে ফিরে আসলে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি গতবারের ট্রফি জয়ী দলটির। তাই ব্যর্থ মনোরথে এবার শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিতে হলো পর্তুগিজদের।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]