ওয়াজেদ আলী (বিশেষ সংবাদদাতা)ঃপলাশবাড়ী শ্রমিক লীগকে সংগঠিত করতে সংবাদ সম্মেলন করেন গাইবান্ধা জেলা পলাশবাড়ী উপজেলা শাখাজাতীয় শ্রমিক লীগের নবগঠিত কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ সুরুজ হক লিটন।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন,দুনিয়ার মজদুর এক হও, বাংলার মেহনতি মানুষ এক হও্য়ঁড়ঃ; জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু । প্রথমেই স্মরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যার জন্ম না হলে এ দেশ কখন
স্বাধীন হতো না, যার জন্ম না হলে আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারতাম না যার জন্ম না হলে আমরা
স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারতাম না । আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ
হাসিনাকে যার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশে আজ উন্নত দেশে পরিণত হচ্ছে। ধন্যবাদ ও
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি গাইবান্ধা জেলা শ্রমিকলীগ এর সভাপতি খাইরুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক
সুধাংশু কুমার রায়কে যারা আমাকে পলাশবাড়ী উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহবায়ক এর দায়িত্ব
দিয়েছেন। আমি চেষ্টা করবো শ্রমিক লীগকে পলাশবাড়ীতে একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে দাড়া করতে।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর
প্রতি। তাদের সমর্থনে ও সহযোগিতা নিয়েই আমরা এগিয়ে যাবো। অত্যন্ত দু:খের সাথে আজকে দেখতে
হচ্ছে, আমার পূর্ব পরিচিত/অপরিচিত অনেকেই আজকে আমাকে শ্রমিক দলের নেতা বানাতে ব্যস্ত।
তাদের কাছে একটাই চাওয়া, হয় আপনারা প্রমাণ দিন না হয় আপনাদের ফেসবুক পোস্ট দিয়ে নিজেদেরই
ছোট করা থেকে বিরত থাকুন। চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি যদি কেউ আমার সাথে অন্য দলের সম্পৃক্ততা দেখাতে
পারেন আমি আমার পদ থেকে সরে যাবো। আর যদি না পারেন তাহলে অনুরোধ করবো যারা অনলাইনে
অপপ্রচার করছেন দয়া করে আপনাদের বক্তব্য উঠিয়ে নিন। না হলে সবার পোস্টের প্রমাণ সহ আমি রেখে
দিচ্ছি, নিজেদের সম্মান রক্ষায় আমি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো। আমি নব্বই এর দশকের আওয়ামী
যুবলীগের কমিটির সদস্য নির্বাচিত হই, যে কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ শামিকুল ইসলাম লিপন ভাই ও
সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম ছিলেন। আপনারা তাদেরকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করুন। আমি সব সময়
একজন ক্রীড়ামনা, প্রগতিশীল, সংস্কৃতিমনা মানুষ। খেলা ধুলার সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম যার ফলে আপনাদের
দোয়ায় আজ আমি গাইবান্ধা জেলা মহিলা ফুটবল দলের কোচ নির্বাচিত হয়েছি। আমাদের সমাজের
পিছিয়ে পড়া মেয়েদের নিয়ে ফুটবল টীম করে তাদের প্রতিভা বিকাশের কাজ করছি দীর্ঘদিন ধরে। আমি
জীবনের বড় সময় পলাশবাড়ীর মানুষের জন্য কাজ করেছি, এনজিও, সামাজিক ও শ্রমিক সংগঠনই আমার
পরিচয়। আমি জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় যুব রাজনীতি করেছি যুবলীগের সাথে। পারিবারিক ভাবে আমাদের
পরিবারের ২জন সদস্য অন্য দলের সঙ্গে ২০১২ সালের আগে সম্পৃক্ত ছিলো। আপনারা খতিয়ে দেখতে পারেন
২০১২ সালের পরে আমার পরিবারের সদস্যরা অন্য কোন দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিল কিনা, ২০১২ সালের পরে দলীয়
কোনো মামলা হয়েছে কিনা, কোনো নাশকতার মামলা হয়েছে কিনা এগুলো আপনি /আপনার খতিয়ে
দেখতে পারেন। আমাদের পরিবারকে চক্রান্ত করে একটি খুনের মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছিলো জামাত
শিবিরের কুচক্রী মহল তারা বলেছিলো শিবিরের নেতাকে আমরা মেরে ফেলেছি যা পরবর্তীতে মাননীয়
আদালত আমাদেরকে জামিন প্রদান করে । আজ সেই কুচক্রী মহল আবার মাথা চারা দিতে চাচ্ছে। আজ
আবার আমার নামে মিথ্যা ভিত্তিহীন তত্ত্ধসঢ়;ব ছড়াচ্ছে। আমি সারাজীবন বাংলাদেশ আওয়ামীলিগের সাথে
সম্পৃক্ত ছিলাম, আছি থাকবো ইনশাআল্লাহ। আমাদের সংগ্রাম মৌলবাদী অপশক্তির বিরুদ্ধে- যারা আজ
আমার কন্ঠ রোধ করতে চায় তারা কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন একবার চিন্তা করুন। সবার শুভবুদ্ধির উদয়
হোক। আমাদের প্রিয় শ্রমিক ভাইদেরকে আনÍরিক ধন্যবাদ জানাই তাদের সমর্থনের জন্য। আমরা কাধে কাধ
মিলিয়ে পলাশবাড়ী শ্রমিক লীগকে সংগঠিত করবোই।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]