বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের কুচ বিহার জেলায় বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছে। সবাই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
শনিবার কুচ বিহারের শীতলকুচির জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে সংঘর্ষে জড়ায় প্রতিদ্বন্দ্বি দুই দলের সমর্থক ও কর্মীরা। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি নিহতরা সবাই তাদের কর্মী। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করেছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলটি। তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপির হয়ে কাজ করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এ ঘটনার বিষয়ে প্রতিবেদন চেয়ে পাঠিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন।
পশ্চিমবঙ্গে চতুর্থ দফার নির্বাচনে ৪৪টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। পরে আরও চার ধাপে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ মে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়েছে, শীতলকুচির পাঠানটুলি এলাকায় প্রথমবারের মতো ভোট দিতে যাওয়া এক ব্যক্তিকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা গুলি করে হত্যা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই ব্যাক্তিকে ৮৫ নাম্বার বুথ থেকে টেনে বের করে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।
তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি'র হাত রায়েছে। তবে বিজেপি'র অভিযোগ নিহত ব্যক্তি তাদের ওই বুথের পোলিং এজেন্ট। আর তাকে হত্যার জন্য রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসকেই দায়ী করছে দলটি।
তৃণমূল কংগ্রেসের এক বিবৃতিতে হত্যাকাণ্ডের জন্য বিজেপির দুষ্কৃতিকারীদের দায়ী করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সকাল থেকেই বিজেপি'র দুষ্কৃতিকারীরা মানুষকে ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত করার চেষ্টা করতে থাকে। একই সময়ে (কেন্দ্রীয় বাহিনী) সিআরপিএফ বিজেপি'র পক্ষে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। মানুষকে কেন ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না তা জানতে তৃণমূল কর্মীরা যখন গিয়েছে তখন বিজেপির দুষ্কৃতিকারীরা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করতে হামলা শুরু করে। এরপরই সিআরপিএফ গুলি চালানো শুরু করে আর এতে তৃণমূলের পাঁচ কর্মী নিহত হয়।’
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মারাত্মক এই হামলার পরও নির্বাচন কমিশন কোনো প্রতিক্রিয়া না জানানোটা দুঃখজনক। পুলিশি নির্দেশে সংঘটিত এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। উর্দি পরিহিত মানুষেরা সন্ত্রাসীদের মতো আচরণ করা লজ্জাজনক।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]