পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা ১৫০ জনেরও বেশি।
দেশটির প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক ডন এ খবর জানিয়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুন) ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরও ১২টি মৃতদের উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
সোমবার ( ৭ জুন) ঘোটকির রাইতি ও ডাকারকি রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। মিল্লাত এক্সপ্রেস ট্রেনটি করাচি থেকে সারগোধা যাচ্ছিল। ট্রেনটি রোববার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঘোটকি জেলায় রাইতি ও দাহারকি স্টেশনের মধ্যবর্তী জায়গায় পৌঁছালে ট্রেনের আটটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ডাউন ট্র্যাকে গিয়ে পড়ে। এর কয়েক মিনিট পরেই রাওয়ালপিন্ডি থেকে বিপরীতমুখী স্যার সৈয়দ এক্সপ্রেস ট্রেনটি পড়ে যাওয়া বগিগুলোর সঙ্গে গিয়ে সজোরে ধাক্কা খায়। দুটি ট্রেনে ১ হাজার ২০০–এর মতো যাত্রী ছিলেন। এরপরই রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় কৃষক ও গ্রামবাসীরা প্রথম ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। উদ্ধারকাজে ও আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে তারা ট্র্যাক্টরও ব্যবহার করেন। পরে পুলিশ, আধা-সামরিক বাহিনী, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ও সেনা সদস্যরা উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পুরুষ, নারী ও শিশুসহ ৬০ জন যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন এবং ১৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন; কিন্তু সরকারি কর্মকর্তারা নিহতের সংখ্যা ৫৫ জন বলে জানিয়েছিলেন।
রেল দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবার ১৫ লাখ রুপি করে ও আহত ব্যক্তিদের ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ রুপি পর্যন্ত সহায়তা দেবে কর্তৃপক্ষ।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এ দুর্ঘটনায় ‘হতাশা’ প্রকাশ করে দায়ীদের খুঁজে বের করতে পূর্ণ তদন্তের ‘আশ্বাস’ দিয়েছেন।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]