বিদেশ ডেস্ক : চীন ও আমেরিকা যেভাবে একে অপরের দিকে তাকাচ্ছে, সবাই তা বুঝতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘সুতরাং, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যা করছে, তাতে সমস্যা হতে পারে। তারা কোয়াড গঠন করেছে।। কিন্তু, পাকিস্তান মনে করে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা শক্তিগুলোর পক্ষে আমাদের মতো দেশগুলোর জন্য অবস্থান নেয়া খুব অন্যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেন আমাদের পক্ষ নিতে হবে? সবার সাথে আমাদের সুভসম্পর্ক থাকা উচিত। এবং, যদি পাকিস্তানের উপর চাপ দিয়ে চীনের সাথে সম্পর্ক হ্রাস করতে বলা হয়, তবে তা কখনোই হবে না।’
আরও বিশদ বিবরণ দিয়ে ইমরান বলেন, ‘পাকিস্তান ও চীনের সম্পর্ক গভীরতর হচ্ছে। এটি কেবল সরকার নয়, এটি জনগণের সাথে জনগণের সম্পর্ক। আমাদের উপর যে যতই চাপ দেয়া হোক না কেন, (দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক) বদলাবে না।’ চীন-পাক সম্পর্কের দিকটি কোথায় গেছে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের জনগণের অন্তরে চীনের জনগণের প্রতি একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। চীনবাসীদের প্রতি তাদের মনে সর্বদা বিশেষ অনুরাগ ছিল। ইমরান খান বলেন, ‘আপনি কেবলমাত্র এমন এক বন্ধুকে স্মরণ করতে পারেন যিনি আপনার দুঃসময়ে আপনার সাথে দাঁড়িয়ে আছেন। ভাল সময়ে, সবাই আপনার সাথে দাঁড়িয়ে থাকে। তবে আপনার কঠিন সময়ে, খারাপ সময়গুলিতে যারা আপনার পাশে এসেছিলেন তাদেরকেই আপনি মনে রাখবেন।’ তিনি বলেন, ‘যখনই পাকিস্তান রাজনৈতিক বা আন্তর্জাতিকভাবে সমস্যায় পড়েছিল, যখন প্রতিবেশীর সাথে আমাদের বিরোধ ছিল, চীন সর্বদা আমাদের পাশে ছিল...এখানকার সবাই তা মনে রেখেছে। সুতরাং, এই সম্পর্কটি আরও দৃঢ়তর হয়েছে।’
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভবিষ্যতের বিষয়ে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী ইমরান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) এর প্রধান প্রকল্প চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিসি) এর সুবিধার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘এক নম্বর বাণিজ্য সিপিসিই ঠিক আপনার সামনে ... পাকিস্তানে এটি সবচেয়ে বড় ঘটনা। আমাদের জন্য, আমরা মনে করি এটি আমাদের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। সুতরাং, এটি পাকিস্তানের জন্য একটি বড় অর্থনৈতিক ভবিষ্যত।’ সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]