মনসুর আলম খোকন,সাঁথিয়া (পাবনা ) প্রতিনিধিঃ পাবনার সাঁথিয়ায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ২টি বিলের প্রায় ১ হাজার বিঘা জমি অনাবাদী হয়ে পড়ে থাকে সারাবছর। অপরদিকে কচুরিপানায় ছেয়ে থাকায় রবি শস্যসহ কোন ফসলই আবাদ করতে পারছেন না কৃষকেরা।
জানা গেছে, উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের গোয়ালবাড়িয়া গ্রামের ভেদাগাড়ীর বিল ও গোলাবাড়ী, গঙ্গারামপুর, মিয়াপুর গ্রামের কুমড়া বিলের প্রায় ১ হাজার বিঘা জমিতে সারাবছরই পানি ও কচুরিপানায় ভরে থাকে। ফলে বছরের পর বছর অনাবাদী হয়ে থাকে কৃষকের জমি। সরেজমিনে বিল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বিলের মধ্যে এখনও অনেক পানি ও কচুরিপানায় ছেয়ে আছে। ফলে এ বছরও বীজতলাসহ রবি শস্যর আবাদ থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিল এলাকার কৃষকরা। গোয়ালবাড়ী, মেয়াপুর, গঙ্গারামপুর ও গোলাবাড়ী গ্রামের কৃষক মোতাহার, রজব আলী, জোদ্দার আলী, আব্দুল হাই, আকতার ও সুলতানসহ অনেকে জানান, ২টা বিলের প্রায় ১ হাজার বিঘা অনাবাদি জমিগুলো পড়ে থাকার কারণে ফসল উৎপাদন করতে না পারায় সাধারণ কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অপরদিকে কৃষকেরা নিজের জমি চাষ করতে না পারায় খাদ্য সঙ্কটে পড়তে হচ্ছে। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ১ ইঞ্চি জায়গাও ফেলে রাখা যাবে না। অথচ এ এলাকার শত শত বিঘা জমির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জমিগুলো অনাবাদী হয়ে পড়ে আছে। তারা বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য।সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জিব কুমার গোস্বামী বলেন, কুমরাবিলের পানি নিস্কানের খালটি পরিত্যাক্ত হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ঐ নিস্কাশন খালটি সংস্কার করা হলে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। এ জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসতে হবে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]