পিপলস লিজিংয়ের ১৪ ঋণখেলাপির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৯ জানুয়ারি তাদের আদালতে হাজির করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান।
ঋণখেলাপিদের মধ্যে রয়েছে—নাহার ইন্টারন্যাশনালের ৩ জন, এস এস ফিলিং স্টেশন, শোভা ফুড, জেসন ফার্মাসিউটিক্যালসের এমডিসহ ২ জন, জেসন অ্যাগ্রো, জেসন ব্রিডাস, জেসন অ্যাপারেল, সামির কাদের চৌধুরী, সামিহা কাদের চৌধুরী ও সাজিয়া কাদের চৌধুরী।
এর আগে ২১ জুন প্রতিষ্ঠানটির পুনর্গঠন বা পুনরুজ্জীবিত করার নির্দেশনা চেয়ে ২০১ জন আমানতকারী হাইকোর্টে আবেদন জানান। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৮ জুন পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডকে পুনর্গঠন বা পুনরুজ্জীবিত করে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য একটি বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট।
আদালতে আমানতকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আহসানুল করিম। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজীব-উল আলম। পিএলএফএসএলের সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিক্যুইডেটর) মো. আসাদুজ্জামানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মেজবাহুর রহমান।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির পুনর্গঠিত বোর্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত ১০ সদস্যের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামাল উল আলম চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করেন হাইকোর্ট। এছাড়াও সরকারের সাবেক সচিব আনোয়ারুল ইসলাম শিকদার, জেলা ও দায়রা জজ (অব.) হাসান শাহেদ ফেরদৌস, পুবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল হালিম চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার (অব.) কাজী তাওফিকুল ইসলাম, এফসিএ নুর-ই খোদা আব্দুল মবিন ও মাওলা মোহাম্মাদ, প্রতিষ্ঠানটির সঞ্চয়কারীদের প্রতিনিধি ডা. নাশিদ কামাল, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নুরুল কবির এবং আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ জালালুদ্দিনকে বোর্ডের সদস্য নিযুক্ত করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালের ২৪ নভেম্বর আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পিপলস লিজিংকে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আর ২০১৯ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পিপলস লিজিংকে অবসায়নের পক্ষে সম্মতি দেয় সরকার।
এরপর আদালতের নির্দেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে অবসায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। অবসায়ক নিয়োগের পর এখন পর্যন্ত মাত্র ৪০ কোটি আদায় হয়েছে। তবে এখনি আমানতকারীরা কোনও টাকা ফেরত পাচ্ছেন না।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]