আফ্রিকার দেশগুলোতে রাশিয়ার বিনিয়োগ মোট বৈদেশিক বিনিয়োগের এক শতাংশের কম। বাস্তবে তাই মহাদেশটির জন্য রাশিয়ার অবদান একবারে নগণ্য। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ আফ্রিকা সফরে গেছেন। তাঁর এই সফর থেকে এটা স্পষ্ট যে ইউক্রেন যুদ্ধের বাস্তবতায় আফ্রিকাকে এখন কতটা প্রয়োজন রাশিয়ার।মিসর, কঙ্গো, উগান্ডা ও ইথিওপিয়ায় লাভরভের এই সফরের পেছনে বড় একটা উদ্দেশ্য হলো, রাশিয়া বিশ্বমঞ্চে প্রমাণ করতে চায়, পশ্চিমাদের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তারা একঘরে নয়। রাশিয়া দেখাতে চায়, বড় শক্তি হিসেবে তারা এমন এক মিত্র, যারা শুধু নির্ঝঞ্ঝাটই নয়, তাদের সঙ্গে নিশ্চিন্তে ব্যবসাও করা যায়।রাশিয়ার ভূকৌশলগত অবস্থান তুলে ধরার জন্য লাভরভের আফ্রিকা সফর গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেনে রাশিয়ার সাম্রাজ্যবাদী ভূ-আগ্রাসনকে পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যকার মতাদর্শিক লড়াই হিসেবে দেখাতে চায় রাশিয়া। তাতে মস্কো অনেকটাই সফল। কেননা, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আফ্রিকা মহাদেশের অনেকগুলো দেশ সমালোচনা করেনি। মার্চ মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আগ্রাসনের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করে করা একটা প্রস্তাবে আফ্রিকার ৫৪টি দেশের মধ্যে ২৫টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল, কিংবা বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল। বিশ্বের অন্য যেকোনো অঞ্চলের চেয়ে আফ্রিকার এই অবস্থান বিপরীত।