ভারতের আধা সামরিকবাহিনী সিআরপিএফের মহাপরিচালক (ডিজি) কুলদীপ সিং জানিয়েছেন দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহার এখন মাওবাদীমুক্ত। বিহারের কোনো কোনো স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে মাওবাদীরা রয়ে গেলেও তাদের বিদ্রোহী অংশটির আর কোনো অস্তিত্ব নেই।
এক সময় মাওবাদীদের ‘মুক্তাঞ্চল’ বলে পরিচিত বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের বিস্তীর্ণ অংশ মাওবাদীদের কাছে রীতিমতো দুর্ভেদ্য হয়ে পড়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন তিনি।
কুলদীপের দাবি, সীমান্তে মাওবাদীদের প্রভাব খর্ব করতে চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে অপারেশন অক্টোপাস, অপারেশন থান্ডারস্টর্ম এবং অপারেশন বুলবুল নামক তিনটি বিশেষ অভিযান চালিয়ে সাফল্যের মুখ দেখেছে সিআরপিএফ। সীমান্ত অঞ্চলের বুরহা পাহাড় এলাকাটি মাওবাদীদের দখলে ছিল প্রায় ৩২ বছর। সেই বুরহা পাহাড় এলাকাকেও মাওবাদী দখলমুক্ত করা গিয়েছে বলে দাবি করেছেন কুলদীপ।
পরে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইট করে লেখেন, উগ্র এবং চরম বাম মতবাদের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনমনীয় যে নীতি গ্রহণ করেছে, এরপরেও তা বজায় থাকবে।
পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যন্ত গ্রাম নকশালবাড়ী থেকে ষাটের দশকে ভারতে সশস্ত্র মাওবাদী আন্দোলন শুরু হয়েছিল। এরপর ঝাড়খন্ড, পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, বিহার, ছত্তিশগড়, অন্ধ্র প্রদেশ, উত্তর প্রদেশেও ঘাঁটি গড়ে তোলে মাওবাদীরা।
মাওবাদীদের দাবি, তারা ভারতের আদিবাসী জনগোষ্ঠী আর দরিদ্র গ্রামবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছে। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ভারতে একটি কমিউনিস্ট প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।