শিরোমনি ডেস্ক রিপোর্ট:বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ কৌশল বিভাগের অধ্যাপাক ফারসীম মান্নান বলেন, ‘পৃথিবী গোলক আকার। সে কারণে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদ দেখা যাবে দূরত্বের অনুপাতে। চাঁদের কক্ষপথ পৃথিবীর নিরক্ষ রেখার সঙ্গে সোয়া ৫ ডিগ্রিতে হেলানো থাকে। ফলে একই সময়ে পৃথিবীর কোথাও একই সময়ে চাঁদ দেখা যায় না।’তিনি আরও বলেন, ‘এখন গাণিতিক গণনায় বের করে ফেলা যায় কোথায়, কখন কোন অক্ষাংশে চাঁদ যাবে বা অবস্থান করবে।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘চাঁদ কখনও স্থির হয়ে থাকে না। ফলে এটা সহজেই বোঝা যায়, চাঁদের অবস্থান কোথায়।’অধ্যাপাক ফারসীম মান্নান জানান, রোজা রাখা বা ঈদের ক্ষেত্রে ইসলামি মতে, চাঁদ দেখতে হবে। চাঁদ একেক দেশ বা এলাকায় একেক সময়ে দেখার কারণে রোজা, ঈদসহ ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো ভিন্ন ভিন্ন দিনে হয়ে থাকে।’
উইকিপিডিয়া বলছে, চাঁদের আবর্তনের পর্যায়কাল ও তার কক্ষপথের পর্যায়কাল একই হওয়ায় আমরা পৃথিবী থেকে চাঁদের একই পৃষ্ঠ সবসময় দেখতে পাই। চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে ২৭ দিন ৭ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট ১১ সেকেন্ডে। কিন্তু সমসাময়িক আবর্তনের ফলে পৃথিবীর পর্যবেক্ষকরা প্রায় ২৯ দশমিক ৫ দিন হিসেবে গণনা করে। একটি ঘণ্টা আবর্তনের পর্যায়কাল অর্ধেক ডিগ্রি দূরত্ব অতিক্রম করে। চাঁদ পৃথিবীকে যে অক্ষরেখায় পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করছে, সে অক্ষরেখায় চাঁদের সময় লাগে একদিন বা ২৪ ঘণ্টা। পৃথিবী থেকে আমরা চাঁদের শতকরা প্রায় ৫৯ ভাগ দেখতে পেয়ে থাকি। চাঁদ সবসময় আকাশের যে অঞ্চল থাকে, তাকে জোডিয়াক (রাশিচক্র) বলে। যা ক্রান্তিবৃত্তের প্রায় ৮ ডিগ্রি নিচে এবং গ্রহণরেখা ওপরে অবস্থান করে।