রেদোয়ান হাসান সাভার, ঢাকা প্রতিনিধি দৈনিকশিরোমণিঃ ঢাকার ধামরাইয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে জহুর আক্তার (৪৫) নামে এক গৃহবধূকে সড়কে ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে।এ ঘটনায় শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ধামরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার কালামপুর-সাটুরিয়া আঞ্চলিক সড়কে এ ঘটনা ঘটেভুক্তভোগী গৃহবধূ জহুরা আক্তার ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের অর্জুন নালাই গ্রামের মনিরুল ইসলাম বাবুর স্ত্রীঅভিযুক্তরা হলেন, ধামরাইয়ের সানোড়া ইউনিয়নের বাটুলিয়া গ্রামের মৃত শামসুল আলমের ছেলে আল মামুন (৪২), একই ইউনিয়নের কালামপুর বাজার এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে জয় (২৫) ও মৃত হায়েত আলীর ছেলে আতাউর (৫০)।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ তারিখ সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি আসছিলেন ওই গৃহবধূ। সন্ধ্যার দিকে কালামপুর সাব রেজিস্ট্রি এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব শত্রুতার জেরে অভিযুক্তরা তার পথরোধ করে গালিগালাজ শুরু করে। এতে বাঁধা দিলে একপর্যায়ে তাকে মারধর করে তারা। এতে ওই গৃহবধূ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার তলপেটে একাধিক লাথি ও গলায় চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে। এছাড়া এতে কাপড়চোপড় ধরে টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানির ঘটনাও ঘটে। পরে তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করতে আসলে অভিযুক্তরা তাকে থানা-লিশে অভিযোগ করলে আরো মারধরের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ জহুরা আক্তার বলেন, আমার পরিবারের সঙ্গে তাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। আমি তো এখানে থাকি না। কোনকিছুতে আসিও না। সেদিন বাবার বাড়িতে আসছিলাম। হঠাৎ ওরা আমাকে থামিয়ে গালিগালাজ করতে শুরু করে। আমি জবাব না দিয়ে চলে যেতে চাইলে আমাকে ধরে মারধর শুরু করে। এতে আমি মাটিতে পড়ে যাই। আশপাশের লোকজন আমাকে উদ্ধার করলে তারা চলে যায়। যাবার আগে হুমকি দেয় থানা-পুলিশ করলে আমাকে দেখে নিবে।তবে এই বিষয়কে অস্বীকার করে আল মামুন বলেন আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম তবে আমি কাউকে মারিনি।এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়াসিম বলেন, গৃহবধূকে মারধরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আগামীকাল ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টির তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]