মহেশখালী প্রতিনিধিঃ মহেশখালীতে পৈতৃকসুত্রে প্রাপ্ত জমি অবৈধ দখলদারের কবল থেকে উদ্ধার করতে প্রশাসনের দৃষ্টিকামনা করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন অসহায় পাঁচ বোন ও দুই ভাই।তারা হলেন, মছুদা বেগম, মাবিয়া খাতুন, মিনুয়ারা বেগম,ফাতেমা বেগম, ছেনোয়ারা বেগম এবং মোঃ নেছার ও আমান উল্লাহ। তাদের বাড়ি মহেশখালী পৌরসভার উত্তর ঘোনাপাড়া গ্রামে।
তারা জানান, তাদের পিতা আব্দুল আজিজের মৃত্যুর পর পৈতৃকসূত্রে প্রাপ্ত জমির ভোগ দখলে ছিলেন পাঁচ বোন ও দুই ভাই। পরবর্তীতে তাদের অসহায়ত্বের সুযোগে ঐ জমিতে চোখ পড়ে স্থানীয় প্রভাবশালীদের। কিছুদিন পূর্বে জমিতে তারা ঘর নির্মাণের চেষ্টা করলে প্রতিপক্ষ হাজ্বী মিয়া হোসেনের ছেলে রোশন আলী জমিটি ক্রয় করেছে বলে জোর করে দখল করে নেয় বলে অভিযোগ করেন।
ঠিক তখন থেকেই বিভিন্ন সময় জমির দখল নেয়ার চেষ্টা করেছে অসহায় ভাই বোনরা। কিন্তু প্রভাবশালীর ক্ষমতার কাছে প্রতিবারই হেরে যায়। এদিকে প্রতিপক্ষ রোশন আলী জমিটি দখলে নিয়ে সেখানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে। এদিকে গত ১১ ফ্রেব্রুয়ারী রাতে জমিতে হামলা চালিয়েছে বলে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে প্রতিপক্ষ রোশন আলী অসহায় ভাই বোনদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় এবং মামলার ভয় দেখায়। এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি বলে দাবী করে নেছার ও আমান আরো বলেন, "প্রতিপক্ষ রোশন আলী জমির চারিদিকে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে। যদি আমরা হামলা করি তবে তার সিসি ক্যামেরায় তা রেকর্ড হবে। সেই রেকর্ড চেক করলে সাজানো ঘটনার বিষয়ে জানা যাবে। রোশন আলী আমাদের ফাঁসিয়ে জমির দখল নিতেই এমনটি করেছে মূলত।
গতকাল সোমবার (১৪ ফ্রেব্রুয়ারী) বিকেল ৩টায় সরজমিনে উত্তর ঘোনাপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, স্থাপনাবিহীন খোলা জায়গায় গাছের উপরে বেশ কয়েকটি উন্নতমানের সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সিসি ক্যামেরা গুলো জনৈক রোশন আলী স্থাপন করেছে বলে স্থানীয়রা জানান।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত রোশন আলী জানান, জনৈক মৌলানা নুরুল হকের নিকট থেকে গত ২০১৭ সালে জমিটি ক্রয় করেছে। সেখানে প্রতিপক্ষের লোকজন জমি দাবী করে দখলের চেষ্টা করে হামলা চালায়।