নাইম উদ্দীন পোরশা(নওগাঁ) প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ নওগাঁর পোরশায় অবৈধভাবে জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগি শামসুল হোদা মন্ডল। আজ মঙ্গলবার বেলা ১০টায় উপজেলার সারাইগাছী বাজারে পোরশা মডেল প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার বাংধারা গ্রামের আব্দুর রউফ মন্ডলের ছেলে ভুক্তভোগি শামসুল হোদা মন্ডল লিখিত বক্তব্যে বলেন, পোরশা উপজেলার তাতিপাড়া মৌজায় ৩০০দাগে সাড়ে ৬শতক জমি ক্রয় সূত্রে তার ছেলে ছলেমান মন্ডল মালিক। যার খতিয়ান নং ৬০। ছলেমান ১৯৯৮সালের ৯ই ফেব্রুয়ারী পোরশা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে একই এলাকার বড়বই গ্রামের অছির উদ্দীনের ছেলে ইদ্রিস আলীর থেকে ক্রয় করে ৩৯০নং দলিল মূলে মালিক হন। ঐ জমির পাশাপাশি সেখানে তার আরও ৪৮শতক জমি রয়েছে। যেগুলোর মালিক তিনি, তার স্ত্রী ও অন্যান্য সন্তান। তবে এই ৪৮শতক জমি ভিন্ন ভিন্ন খতিয়ান ও দাগের। ছলেমানের তাতিপাড়া মৌজার ৬০নং খতিয়ানের ৩০০নং দাগের সাড়ে ৬শতক জমির সাথে ৪৮শতক জমি সম্পূর্ণই আলাদা। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগি শামসুল হোদা মন্ডল আরও বলেন, টাকার বিশেষ প্রয়োজনে ২০১৩সালে ১৫হাজার টাকার বিনিময়ে মোট সাড়ে ৫৪শতক জমি তিনি স্থানীয় আদিবাসী পাড়ার মৃত বন্ধিনাথের ছেলে শ্রীমতি ফুলমনি টুডুর নিকট খায়খালাসি দেন। লিখিত কোন প্রকার চুক্তিনামা না থাকলেও ৭বছর উক্ত জমিতে ধান চাষ করে খেয়ে তাদেরকে জমি ছেড়ে দিতে হবে বলে মৌখিকভাবে চুক্তি ছিল। সে হিসাবে চলতি আমন মৌসুমের শুরুতে জমির মালিকের পক্ষে শামসুল হোদা মন্ডল খায়খালাসি গ্রহিতা শ্রীমতি ফুলমনি টুডুকে ডেকে জমি ছেড়ে দেওয়ার তাগাদা দিলে উপস্থিত সময়ে সে উক্ত জমি ছেড়ে দিতে সম্মত হন। বর্ষার শুরুতে শামসুল তার জমিতে আমন মৌসুমের চাষাবাদ করতে গেলে শ্রীমতি ফুলমনি টুডু তাকে চাষাবাদ করতে বাধা দেয় এবং মারমুখি হয়। এতে শামসুল হোদা মন্ডলের ছেলে ছলেমান মন্ডল বাদী হয়ে ১২জনকে বিবাদী করে পোরশা থানায় গত ১৭ই জুন একটি মামলা করেন। ঐ মামলার প্রেক্ষিতে বিবাদীগন ভবিষ্যতে এমন ভূল আর করবেন না মর্মে আদালতে মুচলেকা দিয়ে ঐ মামলা থেকে অব্যাহতি পান। ভুক্তভোগি শামসুল হোদা মন্ডল বলেন, মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর এখনও তারা জমিতে গেলে বাধা দিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করছে। বর্তমানে ঐ জমি দখল নেওয়ার জন্য শ্রীমতি ফুলমনি টুডু একটি ভুয়া বায়নাপত্র দেখাচ্ছে। ঐ ভূয়া বায়নাপত্রে আমাকে লিখিতা বানানো হয়েছে। সেখানে আমার জাল স্বাক্ষর করেছে তারা। তাছাড়া ঐ বায়নাপত্রের তফসিলে ৬০নং খতিয়ানের ৩০০নং দাগে ৫০শতক জমি দাবি করা হয়েছে। অথচ ঐ খতিয়ানের ঐ দাগে মাত্র সাড়ে ৬শতক জমির মালিক আমার ছেলে ছলেমান মন্ডল। বায়নাপত্র সূত্রে জমির মালিক দাবি করা শ্রীমতি ফুলমনি টুডু ঐ বায়নাপত্র সঠিক দাবি করে বলেন, ঐ জমির মালিক শামসুল হোদা মন্ডল, আমি তাকে টাকা দিয়েছিলাম আর তিনিই স্বাক্ষর করেছিলেন। এ ব্যাপারে পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ সফিউল আজম খান বলেন, মামলা হওয়ার আগে ও পরে বিষয়টি নিয়ে অনেকবার থানায় বসা হয়েছে। কিন্তু মানামানি না হওয়ায় সেটি এখন পর্যন্ত সমাধান হয়নি। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে শামসুল হোদা মন্ডলের ছেলে ছলেমানসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং পোরশা উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]