প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অপরূপ এই বাংলাদেশ। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণসহ প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ টেকসই পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ, কার্বন আঁধার সৃষ্টি, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, কর্ম-সংস্থান সৃষ্টি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বৃক্ষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
রোববার (৫ জুন) ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২২ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘বৃক্ষপ্রাণে প্রকৃতি-প্রতিবেশ, আগামী প্রজন্মের টেকসই বাংলাদেশ’ যৌক্তিক ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, এ বছর যারা ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন, ২০২০ ও ২০২১’, ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার, ২০১৯ ও ২০২০’ ও যেসব উপকারভোগী সামাজিক বনায়নের লভ্যাংশ পেয়েছেন তাদের আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার টেকসই বন ব্যবস্থাপনাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনা এবং সামাজিক বনায়নে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করেছে। ফলে বনজ সম্পদ উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও বন পুনরুদ্ধার কার্যক্রম জোরদার হওয়ায় দেশে বৃক্ষাচ্ছাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বর্তমানে বৃক্ষাচ্ছাদনের পরিমাণ দেশের মোট ভূমির ২২.৩৭ শতাংশ; আমাদের গৃহীত কার্যক্রমের ফলে এ হার আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ ২৫ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি প্রত্যেককে কমপক্ষে একটি করে ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণের আহ্বান জানাই। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ আমরা গড়ে তুলতে সক্ষম হব, ইনশাল্লাহ। আমি ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২২’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।