বিধান রায় গোপালপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব সারদীয় দূর্গাপূজা। ঘরে ঘরে চলছে আগমনী বার্তা। প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গোপারপুরের মৃৎ শিল্পরা।আগামী ১০ অক্টোবর ষষ্ঠীতে তিথিতে শুরু হবে দূর্গাপূজা । এবং ১৫ অক্টোবর দশমী তিথীতে প্রতিমা বির্সজনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে। এ বছর উপজেলার ৪৬ টি পূজা মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ পূর্জা মন্ডপ গুলোতে একাগ্র চিত্রে আপন মনে নিপূন হাতে নিখুঁতভাবে মনের মাধুরী মিশিয়ে কারিগররা পুটিয়ে তুলেছেন দূর্গা দেবীকে। পূজার দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে মন্ডপে মন্ডপে চলছে সাজসজ্জার কাজ। এবার দেবীদূর্গা আসবেন ঘোটকে চড়ে এবং যাবেন দোলায় চড়ে।গত ১৫ বছরের বেশী সময় প্রতিমা তৈরীর করছেন দিলীপ চন্দ্র পাল । ছোট থেকে বাবার সঙ্গে কাজ করতে করতে আজ তিনি নিজেই প্রতিমা তৈরীর কারিগর হয়েছেন।প্রতিমা কারিগর অনিক পাল জানান এবার হাতে নিয়েছেন ১৩ টি প্রতিমা কাজ। প্রতিমা তৈরী বিভিন্ন মডেল অনুযায়ী মুজুরী নিচ্ছেন ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা । কিন্তু চলমান পরিস্থিতের সব জিনিসের দাম বেশী হওয়ার আমাদের আগের মতো পোষানা বলে জানান এই কারিগর।আরেক কারিগর ডুবাইল গ্রামের রঘু নাথ পাল জানান,প্রতিমা তৈরিতে মূলত মাটি ,বাঁশ খড়,দড়ি লোহা পাট,কাঠ,রঙ বিভিন্ন রঙের শিট প্রযোজন হয়। তবে বাজারে এসব পণ্যেও দাম বাড়ায় এবার প্রতিমা তৈরিতে কিছুটা খরচ বেড়েছে। তবু শ্রমিকের মুজুরি ও সব খরচ আমাদের পোষেনা।মা দূর্গা দেবী ভক্ত মনরন্জন সরকার জানান,করোনার কারণে আর্থিক ভাবে কিছুটা ক্ষতি হলে সকলের মঙ্গলের জন্য ও অশুভ শক্তি দমন করার জন্য আমরা স্বর্তফুত ভাবে দূর্গাপূজা প্রতি বছরের মতো এবার করবো।গোপালপুর পূজা উদযাপন পরিষদেও সভাপতি সমরেন্দ্র নাথ সরকার বিমল জানান,সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে সারদীয় দূর্গাপূজা। এ বছর উপজেলার ৪৬ টি পূজা মন্ডবে পূজা অনুষ্ঠিত হবে । পূজা নিবিঘœ করতে আমরা প্রশাসন থেকে সার্বিক সহযোগীতা পাচ্ছি।