যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে প্রথমবারের মতো এসেছে জনসন অ্যান্ড জনসনের করোনা প্রতিরোধী টিকা। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে ৩ লাখ ৩৭ হাজার ডোজ টিকা দেশে এসে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে এই টিকা পেলো বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সাহায্য সংস্থা ইউএসএইড বাংলাদেশের ভেরিফাইড ফেসবুকে পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিনামূল্যে এই টিকা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে।
প্রসঙ্গত, জনসনের এটি এক ডোজের টিকা। এর আগে বাংলাদেশে যত টিকা দেওয়া হচ্ছে তার সবগুলোই দুই ডোজের।জনসনের এই টিকা রেফ্রিজারেটরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যায়। কোনও ফ্রিজারের প্রয়োজন হয় না।
জনসনের এই টিকা রেফ্রিজারেটরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যায়। কোনও ফ্রিজারের প্রয়োজন হয় না।
উল্লেখ্য, মার্কিন খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসনসহ বিশ্বের নানান দেশের গবেষণায় করোনার ভাইরাসের বিরুদ্ধে জসসনের টিকার সর্বোচ্চ কার্যকারিতার বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ব্যাপক রোগীভিত্তিক পরীক্ষায় তীব্র কোভিড রোগের বিপরীতে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার যুক্তরাষ্ট্রে ৮৫ দশমিক ৯ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৮১ দশমিক ৭ শতাংশ ও ব্রাজিলে ৮৭ শতাংশ ৬ শতাংশ কার্যকারিতা দেখা গেছে।
এসব অঞ্চলে ৩৯ হাজার ৩২১ জন এই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। তাতে দেখা গেছে, তীব্র কোভিড-১৯ রোগ প্রতিরোধে ৮৫ দশমিক ৪ শতাংশ কার্যকর এই টিকা।
বিভিন্ন জনমিতিক গোষ্ঠীর ওপর এই টিকার কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বয়স, জাতি বা লোকজন, যাদের দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসার প্রয়োজন, তাদের ক্ষেত্রে এই কার্যকারিতার কোনো পার্থক্য চোখে পড়েনি।
ফাইজার ও মডার্নার টিকার মতো এটি মানপব দেহে প্রয়োগের ফলে মারাত্মক অ্যালার্জির ক্ষেত্রে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তবে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী তরুণদের চেয়ে বয়স্কদের মধ্যে ইনজেকশনের সুচ ঢুকানোর জায়গায় ব্যথা, মাথাব্যথা, ক্লান্তি ও মংসপেশীতে ব্যথার মতো মৃদৃ থেকে মাঝারি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।
এখন পর্যন্ত জনসনের টিকা নেওয়া লোকজনের মধ্যে কোনো মৃত্যুর খবর আসেনি। এফডিএ বলছে, কোনো সুনির্দিষ্ট উদ্বেগ ছাড়াই এই টিকাটি মানব দেহে প্রয়োগ করা যায়।