জামালপুর জেলা প্রতিনিধি: জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ ‘প্রথম আলো’ পএিকার বিরুদ্ধে সাংবাদ সম্মেলন করেন।সাংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ লিখিত বক্তব্যে বলেন যুগে যুগে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্র এখন থেমে নেই। ১৯৭৪ সনের দুভিক্ষে জাল পরিয়ে বাসন্তীর ছবি পএিকায় ছাপিয়ে বাংলাদেশের অর্ধনগ্ন চিত্র বিশ্ব দরবারে প্রদর্শনের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। সেই একই পথ ধরে ১/১১ তে অনির্বাচিতদের ক্ষমতা গ্রহন ও বিরাজনীতিকরণ অপতৎপরতা মাধ্যমে রাজনীতিকদের চরিত্রহননে কিছু সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা করোরই অজানা নয়।সাম্প্রতিক সময়ে সেই একই চিত্র আবারও আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে। দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলোর অবাধ স্বাধীনতার সুযোগে কোন কোন সংবাদ মাধ্যম আবারও সেই পুরনো ঘূন্য ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে শুরু করেছে। ‘প্রথম আলো’ পএিকা সে ষড়যন্ত্রের মূলহোতাদের একটি।
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে ‘প্রথম আলো’ পএিকায় ২৮ নভেম্বর ২০২২ তারিখের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত সেই সংবাদ ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করেন জেলা আওয়ামী লীগ।
গত ২৮ শে নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের এি বার্ষিকী সম্মেলনে লোক সমাগম নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও ‘প্রথম আলো’ পত্রিকা।গত ১ ডিসেম্বর তারিখে ‘প্রথম আলো’ পত্রিকার জামালপুর জেলা প্রতিনিধি একটি নিউজ করেন সেখানে তিনি উল্লেখ করেন “আলোচনায় সম্পাদকের পদ হারানো ফারুক” যার প্রভাবে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে লোক সমাগম হয় নি সকাল ১২ টা পর্যন্ত মাঠ ছিলো ফাকা।অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জানাযায় সম্মেলনে লোকসমাগম পরিপূর্ণ হয়েছে।
এই বিপরীত মুখী দুটি বিষয় নিয়ে আজ ৫ ডিসেম্বর জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের বকুলতলাস্থ কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগ ‘প্রথম আলো’ পএিকার বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগ আরও বলেন জননেতা মির্জা আজম এমপি’র জেলা জামালপুর বরাবরই আওয়ামী লীগের দুর্গ। সেই দুর্গের বাস্তব চিত্র আড়াল করে ‘প্রথম আলো’ পত্রিকার জামালপুর প্রতিনিধি যে চিত্র প্রকাশ করেছেন তাতে জামালপুরের সার্বিক উন্নয়নের রূপকার জননেতা মির্জা আজম এমপি’র ভাবমূর্তি খাটো করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। ।’প্রথম আলো’পএিকায় প্রকাশিত নিউজটি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি,জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ।
স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশে বাংলাদেশের একটি প্রথম স্থানীয় পত্রিকার বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন কতটুকু যৌক্তিক ?