মুমিনুল হকের ৭০, লিটন দাসের ৯৫ আর মাহমুদউল্লাহর ৫৪ রানের ওপর ভর করে প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছে ২৯৪ রান। ৮৩ ওভার খেলে ৮ ইউকেট হারিয়ে ২৯৪ রান সংগ্রহ করেছে টাইগাররা। দিন শেষে অপরাজিত আছেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি ১৪১ বল খেলে ৫৪ রান করেছেন। এ রান তুলতে ৫ টি চারের মার খেলেছেন। তার সঙ্গে অপরাজিত আছেন তাসকিন আহমেদ। তিনি ১৫ বল খেলে করেছেন ১৩ রান।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় মুমিনুলবাহিনী। পেসার ব্লেসিং মুজারাবানির বলে শূন্য রানে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ওপেনার সাইফ হাসান। সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তও। পঞ্চম ওভারে মুজারাবানির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন শান্ত। ব্যক্তিগত ২ রানে তৃতীয় স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি।
শ্রীলঙ্কা সফরে ১৬৩ রানের ইনিংস খেলার পর থেকে ব্যর্থতার বৃত্তে শান্ত। এ ম্যাচেও পেলেন না রানের দেখা। সাইফ হাসান ব্যর্থ অনেক আগে থেকেই। শ্রীলঙ্কা সিরিজে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দলে আছেন তিনি।
৬৪ বলে ২৩ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন সাদমান ইসলাম। ব্লেসিং মুজারাবানির বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিমও। তিনি ৩০ বল খেলে ১১ রান করে সাজঘরের দিকে হাঁটেন।
৫ বল খেলে ৩ রান করে নিজের মূল্যবান উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন সাকিবও। ভিক্টর নিয়াউচির বলে রেজিস চাকাভার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন বিশ্ব সেরা এই টেস্ট অলরাউন্ডার। আইপিলের কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলেননি সাকিব। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে ফিরে খেলতে পেরেছেন মাত্র ৫ বল।
এদিকে, সেঞ্চুরির আশা দেখালেও ৭০ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন মুমিনুল হক। ৯২ বলে ৭০ রান করে ভিক্টর নিয়াউচির বলে ডিওন মায়ার্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। ৭০ রান করতে তিনি ১৩টি চারের মার খেলেছেন।
হাফ সেঞ্চুরির তুলে নিলেও শত রান করতে পারেননি লিটন দাস। ভক্তদের আশা দেখিয়েও ডোনাল্ড টিরিপানোর বলে ভিক্টর নিয়াউচির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন তিনি। মাঠ ছাড়ার আগে ১৪৭ বলে ৯৫ রান করেন তিনি। সুবিধা করতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজও। নেমেই এক বলে কোনো রান না করেই মাঠ ছেড়েছেন তিনি। টিরিপানোর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়েন।