রাশিয়ার আক্রমণের মুখে প্রাণ হারানোর আশঙ্কা থাকলেও দেশে ছেড়ে পালাননি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও দেশবাসীকে শত্রুর মুখে ফেলে কোথাও যাবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সামরিক পোশাকে রাস্তায়ও নেমেছেন তরুণ এ নেতা। এমন নেতৃত্ব ও সাহসিকতার কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন জেলেনস্কি।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে কিয়েভের রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে দেশরক্ষার বার্তা দিতে দেখা যায়। এ সময় তার পাশে ছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী, চিফ অব স্টাফসহ ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা।
ভিডিওতে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টকে বলতে শোনা যায়, আমরা সবাই এখানে রয়েছি। আমাদের সেনাবাহিনী এখানে, নাগরিকরা এখানে। আমরা সবাই আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের দেশকে রক্ষা করছি এবং এই কাজ আমরা এভাবেই করতে থাকবো।
এর আগে এক ভিডিওবার্তায় জেলেনস্কি দাবি করেন, তাকে সরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে ইউক্রেনকে রাজনৈতিকভাবে ধ্বংস করতে চায় রাশিয়া। তিনি বলেছেন, শত্রুরা আমাকে এক নম্বর ও আমার পরিবারকে দুই নম্বর টার্গেট হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি এখনো কিয়েভের সরকারি কোয়ার্টারে রয়েছেন এবং তার পরিবারও ইউক্রেনে। শত্রুরা কিয়েভে ঢুকে পড়েছে। তবুও তিনি রাজধানীতেই থাকবেন।
এদিকে বিপদ জেনেও জেলেনস্কির কিয়েভে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে তাকে নিয়ে চলছে প্রশংসার জোয়ার। এমন সাহসীরাই ‘প্রকৃত নেতা’ বলে উল্লেখ করেছেন কেউ কেউ।
একসময় জনপ্রিয় কমেডিয়ান ছিলেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। একটি টিভি শোতে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সেজে অভিনয়ও করেছিলেন। সেটিই বাস্তবে রূপ নেয় ২০১৯ সালে। ৭৩ শতাংশ ভোট পেয়ে দেশটির সত্যিকারে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এ নেতা।
খবর বিবিসি
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]