প্রাথমিক স্তর থেকেই সবাইকে প্রোগ্রামিংয়ে যুক্ত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেছেন, কেবল ভবিষ্যৎ পেশার জন্যই নয় বরং চিন্তার জগতটাকে চমৎকারভাবে বিকশিত করার জন্য প্রোগ্রামিং ধারণা অপরিহার্য। এ ক্ষেত্রে নারীদের জন্য কাজের পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি তাদের কর্মজীবনের নিরাপত্তাও দিতে হবে। এই লক্ষ্যে মিশ্র পদ্ধতির শিক্ষা কার্যক্রম উদ্যোগের আওতায় প্রাথমিক স্তর থেকে কোডিং যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিডিওএসএন আয়োজিত ডিজিটাল প্রযুক্তিখাতে মেয়েদের অন্তর্ভুক্তিকরণ-বিডি গার্লস প্রকল্পের অভিজ্ঞতা বিনিময় উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণ ও তাদের ফলাফল অসাধারণ উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, স্বাধীনতার বড় অর্জন আমরা আমাদের মেয়েদের শিক্ষায় সম্পৃক্ত করতে পেরেছি। মেয়েদের কাজের উপযুক্ত পরিবেশ ও সুযোগ দিতে পারলে তারা অসম্ভব সৃজনশীল কাজ করতে পারবে। শিশুরাও অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে প্রোগ্রামিং করছে। সুযোগ সৃষ্টি করার মাধ্যমে মেয়েদের মানবসম্পদ হিসেবে কাজে লাগানো সম্ভব হবে।
বিডিওএসএন-এর প্রোগ্রামিং উদ্যোগটিকে একটি অসাধারণ উদ্যোগ আখ্যায়িত করে মন্ত্রী বলেন, মেয়েদের একসঙ্গে পারিবারিক কাজকর্মের চাপ সামলানোর পাশাপাশি পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হয়। পশ্চাৎপদ ধারণার কারণে অনেক মেয়েকে পেশার প্রতি নিরুৎসাহিত করা হয়। এ ধরনের নানা বাধার দেওয়াল ভেঙে নারীদের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে পারলে অনেক সুফল পাওয়া সম্ভব।
প্রোগ্রামিংয়ের আন্দোলনে জেলা প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে।
অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক মুনীর হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি নাজমা আশরাফ এবং ওমেন ইন ডিজিটালের নির্বাহী আছিয়া নীলা প্রমুখ মতবিনিময় করেন।
অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তাদের পেছনে রেখে জাতীয় অগ্রগতি সম্ভব নয়। ডিজিটাল প্রযুক্তিখাতে মানব সম্পদের বর্ধিত চাহিদা মেটাতে মেয়েদের এগিয়ে আনতে বিদ্যমান বাধাগুলো অপসারণ করতে হবে। এতে দেশ অনেক বেশি উপকৃত হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রোগ্রামিং একটি সৃজনশীল কাজ ও এটি বিনোদনমূলকও। এই ক্ষেত্রে যথাযথ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজনীয়তার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
ওমেন ইন ডিজিটালের আছিয়া নীলা বলেন, করোনার পরে আমার প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের অংশগ্রহণ অর্ধেকে নেমে এসেছে। নানা পারিবারিক সমস্যার জন্য এই ঘটনা ঘটছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]