ঢাকা জেলা প্রতিনিধি :ঢাকার ধামরাইয়ে জুলেখা বেগম (৫০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার ১৩ দিন পর স্বামী কহিনুর ইসলাম ফকিরকে (৬২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪ এর একটি দল। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত জুলেখা ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর এলাকার কহিনুর ইসলামের স্ত্রী।রবিবার (৪ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-৪ এর লে. কমান্ডার মোহাম্মদ রাকিব মাহামুদ খান।র্যাব জানায়, কহিনুর ইসলাম ফকিরের বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার একটি মামলা হয়। কহিনুর সেই মামলা থেকে গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য আত্মগোপন করেছিল। ঘটনার ১৩ দিন পর মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার (৪ ডিসেম্বর) সকালে কহিনুর ইসলাম ফকিরকে থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।র্যাব-৪ এর লে. কমান্ডার মোহাম্মদ রাকিব মাহামুদ খান (সিপিসি-২) সাংবাদিকদের জানান, ২০ নভেম্বর ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর এলাকায় কহিনুর তার নিজ বাসায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী জুলেখাকে ইট দিয়ে থেতলে হত্যা করে কৌশলে পালিয়ে যায়। এরপর ধামরাই থানা পুলিশ জুলেখার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় জুলেখার বড় ভাই আব্দুল কাদের বাদী হয়ে ধামরাই থানায় কহিনুরকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।প্রসঙ্গত, প্রায় ৩৫ বছরের সংসার ছিল এই দম্পতির। কহিনুর ফকির গত কয়েক বছর ধরে আরেকটি বিয়ে করতে চাচ্ছিলেন। এ নিয়ে জুলেখার সঙ্গে কহিনুরের ঝগড়া চলছিল। রোববার (২০) সকালেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরই এক পর্যায়ে কহিনুর জুলেখাকে মারতে যায়। সেসময় জুলেখা দৌঁড়ে প্রতিবেশী আলী হোসেনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে কহিনুর ওই বাড়িতে এসে জুলেখাকে ইট দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকেন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান জুলেখা। স্ত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি বুঝতে পেরে পালিয়ে যান কহিনুর।