এইচএম নবীন, ঝালকাঠি বিশেষ প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের সে”ছাচারিতা, সিন্ডিকেট করে কমিটি গঠন, অন্যায় ভাবে সদস্য বহিস্কার, কজন সাংবাদিকের ক্লাবের নামে বানিজ্য, সাংবাদিক বিরোধী প্রত্যক্ষ ভূমিকা এবং ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে নতুন সদস্য না নেয়ার প্রতিবাদে মাস ব্যাপি কর্মসূচির ঘোষনা দিয়েছে ঝালকাঠির সকল সাংবাদিক সংগঠন। কর্মসূচি শেষে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মাধ্যমে সকল সাংবাদিকদের নিয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে এই সে”ছাচারিতার অবসান ঘটানো হবে বলে আশামত ব্যক্ত করেন সাংবাদিকরা। তারা আরো বলেন ইতি মধ্যেই প্রেসক্লাব সিন্ডিকেটের এসব অবৈধ কর্মকান্ডের বিষয়ে ঝালকাঠির অভিভাবক এমপি আমির হোসেন আমুসহ প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। কিš‘ সিন্ডিকেট সদস্যরা তাদের কর্মকান্ড ধামাচাপা দিতে সাময়িক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে আবার তাদের পূর্বের রুপে রুপ ধারণ করেছে। তাই তাদের এ অব্যাহত অবৈধ কর্মকান্ড প্রতিরোধে শেষ পর্যন্ত সকল সাংবাদিক সংগঠন একত্রিত হয়ে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়। এ বিষয়ে সবার সহযোগীতা কামনা করা হয়েছে।সোমবার রাত আটটায় ঝালকাঠি টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ঝালকাঠি সংবাদপত্র পরিষদ, টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতি, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম, ঝালকাঠি রিপোর্টার্স ইউনিটি, ঝালকাঠি মিডিয়া ক্লাবের কর্র্তৃপক্ষ ও সদস্যগণ যৌথ ভাবে প্রতিবাদ সভায় যোগ দেন। সভায় বক্তারা বলেন, ২৮ সদস্য বিশিষ্ট্য ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের কয়েকজন কর্মকর্তা দীর্ঘ বছর যাবৎ সংগঠনটিকে তাদের স্বার্থে খেয়াল খুশি মতো পরিচালনা করছে। তাই ঐ সিন্ডিকেট ভেঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাংবাদিকদের সংগঠন ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবকে সিন্ডিকেট মুক্ত করে সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।সম্প্রতিঝালকাঠির চারণ সাংবাদিক দিবস তালুকদারকে অন্যায় ভাবে প্রেসক্লাবের সদস্য পদ বাতিল করায় এ সভায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানানো হয়। দিবস তালুকদারকে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের দেয়া চিঠিতে ৭ টি ভুল নিয়ে ক্লাবের অধপতনের বিষয়ে ধিক্কার জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করা হয়। এর সমালোচনায় সাংবাদিকরা বলেন এরা আবার সমাজে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক দাবি করে। এর আগে প্রেস ক্লাবের অন্যায় ও অপকর্মের প্রতিবাদ করায় সামান্য অযুহাতে বিশিষ্ট প্রবীন সাংবাদিক জিয়াউল হাসান পলাশ, আজমীর তালুকদার, মনিরুজ্জামান, শফিউল আজম টুটুল সহ অনেক সাংবাদিকের সদস্যপদ বাতিল করে এই সিন্ডিকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে। সভায় বর্তমান সররকারের স্বরাষ্ট্র ও সড়ক মন্ত্রীদের নিয়ে ফেসবুকে কটুক্তি করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আসামী এবং বরিশাল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি বিচারাধীন মামলার আসামী আক্কাস সিকদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করিয়ে হয়রানীর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়। একই সাথে মন্ত্রীদের নিয়ে কটুক্তির ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে কালক্ষেপনের বিষয়ে আইজিপিকে অবগত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া সভায় সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজের ব্যনারে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ থাকতে ঝালকাঠি সাংবাদিকদের সকল সংগঠন একাত্ততা প্রকাশ করেছে।