ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর): চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পৃথক ঘটনায় অষ্টম শ্রেনীর ছেলে ও মেয়ে দুই শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার সংবাদ পাওয়া গেছে। উভয়ে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী এবং অষ্টম শ্রেনীতে পড়েন বলে থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদ হোসেন নিশ্চিত করেন।বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকালে ১১টায় উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের মনতলা ইউসুফ জমাদার বাড়ির আলমগীর হোসেনের ছেলে মানুরী ফাজিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র মো. সিয়াম হোসেন (১৫) বাবার সাথে অভিমান করে নিজ ঘরে ইদুরের ঔষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে।যন্ত্রনায় গোংগানী শুনে পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত পাশ্ববর্তী নিকটস্থ হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে পরিবারের লোকজন সিয়ামের লাশ বাড়িতে নিয়ে আশে। মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক ডাঃ গোলাম মাওলা।অপরদিকে একইদিন ভোর রাতে উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের জমাদার বাড়ির আবুল বাশারের ছোট মেয়ে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী হাবিবা আক্তার (১৬) ঘরের আড়াঁর সাথে ওড়ঁনা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। হাবিবা স্থানীয় ধানুয়া ফাজিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী।স্বজনরা জানান, অন্যদিনের মতো রাতে বড় বোনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে হাবিবা ঘুমাতে যায়। এরপর ভোর রাতে তার বড় ভাবী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘুম থেকে উঠে দেখে হাবিবা ঘরের আড়াঁর সাথে ঝুলে আছে। তার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘুম থেকে উঠে তার মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামানোর সময় তার শরীর নিথর ছিলো। হাবিবার আত্মহত্যার ঘটনার সঠিক কারন জানা যায়নি।সংবাদ পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মশিউর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ সকালে ৯টায় ঘটনাস্থল থেকে হাবিবার মৃতদেহ উদ্ধার করে ।ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন বলেন, উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়ন এবং সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের দুই শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার সংবাদে আমরা মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছি। আত্মহত্যারর ঘটনায় দুইটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। উভয়ের আত্মহননের সঠিক কারন জানা যায়।