বিধান মন্ডল ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুর সদর উপজেলার ৯নং কানাইপুর ইউনিয়নের কাশিমাবাদ গ্রামের ডাঙ্গীরপাড়া পশ্চিম মাঠে মৌসুমী ফসল বোরো ধান কর্তন করেছে কৃষক (উদ্যক্তা) কাশিমাবাদ গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ ইনামুল হাসান মাসুম।
দেশের হাওর এলাকার ৯৮ ভাগ বোরো ধান কৃষকের ঘরে উঠেছে। আর দুইভাগ ধান পুরোপুরি না পাকায় এখনও ক্ষেতে রয়েছে। এ ধানগুলো কাটতে আরও সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। এরপরই ফরিদপুরের বিভিন্ন অঞ্চলের শতভাগ ধান কৃষকের গোলায় উঠবে। শুক্রবার কৃষি অভিজ্ঞ মোঃ ইদ্রিস শেখ এসব তথ্য জানান।
তিনি আরো বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাশিমাবাদ ডাঙ্গীরপাড়া পশ্চিম মাঠে প্রায় ৮০ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। বাকি যে ২০ ভাগ ধান রয়েছে তা ছিটেফোটা ভাবে রয়েছে। এরমধ্যে কেউ স্থানীয় জাত লাগিয়েছে, কেউ উপসী আবার কেউ বোরো লাগিয়েছে দেরি করে। এ ধানগুলো কাটতে কৃষকের আরও সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। কানাইপুর ইউনিয়নের হাওরবেষ্টিত বিভিন্ন এলাকার বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার তুলনামূলক ধানের উৎপাদন ভালো হয়েছে।
কৃষক ইনামুল হাসান জানান, ফরিদপুরের হাওরবেষ্টিত উপজেলা ও ইউনিয়নে বোরো ধানের উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা আশাকরি পূরণ হবে। অনাবৃষ্টি জনিত কারণে ফরিদপুরের ধান নিয়ে সরকার-কৃষক উভয়ই চিন্তিত ছিল। এছাড়া করোনা ও লকডাউনের কারণে বাইরের জেলা থেকে ধান কাটা শ্রমিক আসতে পারবে না। ফলের মাঠের ষোলআনা ধান কৃষকের গোলায় উঠবে কিনা, আবার আকস্মিক বন্যায় ধান পানিতে তলিয়ে যাবে ইত্যাদি ভাবনা এতদিন কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা দুশ্চিন্তায় ছিলেন। কারণ ইউনিয়ন পর্যায়ে এই মৌসুমের ধান জেলার মোট উৎপাদনের প্রায় ২০ ভাগ।
দুই বছর আগের চৈত্রের শেষের সময় ভারী বর্ষণে চাপাই ও পদ্ম বিলের বাঁধ ভেঙে ভাসিয়ে নিয়েছিল কৃষকের সোনালী ফসল। বিনষ্ট হয়েছিল সব পাকা ও আধাপাকা ধান। ধান হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছিলেন ফরিদপুরের লাখ লাখ কৃষক। এবারও সেই শঙ্কা, সেই ভয় তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল তাদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ধান কাটার জন্য জরুরি ভিত্তিতে নতুন কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার বরাদ্দ দিয়েছে। যে কারণে দ্রুত ফরিদপুরের ধান কাটা সহজে সম্পন্ন হচ্ছে।