রবিউল হাসান রাজিব ফরিদপুর প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ

ফরিদপুরের কমলাপুরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী ময়েজমঞ্জিলে গভীর রাতে তালা ভেঙ্গে বিভিন্ন কক্ষ তছনছ করা হয়েছে। ৪ঠা জুলাই ২০২১ রােববার দিবাগত গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফরিদপুরের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ পুলিশের দুইটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ নিয়ে সাম্প্রতিককালে ছয়বার ময়েজমঞ্জিলে রাতের আঁধারে এমন ঘটনা ঘটলাে।সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ময়েজমঞ্জিলে সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের তিনতলা বিল্ডিংয়ের দােতলা ও তিনতলার ড্রয়িং রুম ও বেডরুমের ওয়ারড্রব ও আলমারীর তালা ভেঙ্গে বিভিন্ন মালামাল তছনছ করা হয়েছে। সেখানে কাপড়চােপর, তৈজসপত্রসহ ব্যবহার্য জিনিষপত্র মেঝেতে ফেলা। টেলিভিশন এবং এসি ছিলো। তবে কােন মালামাল খােয়া যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।ময়েজমঞ্জিলের কেয়ারটেকার মােঃ আফসার খান বলেন, রােববার রাত ১১টা পর্যন্ত তারা ময়েজমঞ্জিলের পুরাতন বিল্ডিংয়ের একটি কক্ষে অবস্থান করেন। পরে মূল বাউন্ডারির বাইরের কক্ষে এসে ঘুমিয়ে পরেন। সকালে এসে নতুন ভবনের কলাপসিবল গেটের তালা ভাঙ্গা দেখতে পান। তিনি জানান, এর আগে সাম্প্রতিককালে আরাে পাঁচবার ময়েজমঞ্জিলে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার সােমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি আশেপাশে অনুসন্ধান করে উত্তরের সীমানা দেয়াল সংলগ্ন অজ্ঞাত ব্যক্তির পায়ের ছাপ দেখতে পান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাস্থল ময়েজমঞ্জিল হওয়ায় তারা সঙ্গতকারণেই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছেন। টিভি ফুটেজ ও অন্যান্য সাের্স ব্যবহার করে বিষয়টি গভীর তদন্ত করে দেখা হবে। এর আগে সােমবার সকালে কােতয়ালী থানার এসআই আনিসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি কি শুধুই চােরের হানা নাকি দুর্বৃত্তদের অন্য কােন লক্ষ্য ছিলাে সেটি খতিয়ে দেখা দরকার। আশা করি পুলিশ কর্মকর্তাগণ ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে দেখবেন। এব্যপারে কােতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করার প্রস্তুতি চলছে।