রবিউল হাসান রাজিব,দৈনিক শিরোমণিঃ
চলমান করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পেতে চলছে কঠোর লকডাউন। এই লকডাউনে কৃষকেরা ক্ষেতের ধান কাটতে শ্রমিক সংকটে পরেছেন। কিছু শ্রমিক পাওয়া গেলেও তাদেরকে দিতে হয় দ্বিগুণ পরিমান পারিশ্রমিক যা দরিদ্র কৃষকদের জন্য অসম্ভব। এই সংকটে এ সকল দরিদ্র কৃষকের ক্ষেতের ধান নিজ হাতে কাটলেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।
২৭ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে শহরের বাইপাস সড়কের পাশে ১নং গোয়ালচামট এলাকার দরিদ্র কৃষক রফিকুল ইসলামের ১০ কাঠা জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দিলেন জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এবং সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কম্বাইন্ড হার্ভেস্টারের মাধ্যমে বোরোধান কর্তন উৎসবে জেলা প্রশাসকের সাথে ধান কর্তন উৎসবে অংশ নেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আঃ রাজ্জাক মোল্লা, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. হযরত আলী, জেলা কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কে এম হাসিবুল হাসান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ জাহিদুল আলম, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল বাসার প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক জানান, করোনা কালে দরিদ্র কৃষকেরা শ্রমিক সংকটে তাদের জমির ফসল ঘরে তুলতে পারছে না। এই সংকটের সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দরিদ্র কৃষকদের জমির ধান কেটে দেওয়া শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে কৃষকদের ধান কাটা খুবই সহজ আর সাশ্রয়ী হয়েছে। কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার খুব অল্প সময়েই অনেক লোকের কাজ সহজেই করে দিতে পারে। এতে একদিকে যেমন সময় বাঁচে অন্যদিকে খরচও বাঁচে।
তিনি কৃষকদের উদ্যেশ্যে বলেন, আপনারা অল্প সময়ের মধ্যে আপনাদের ধান সরকারের কাছে বিক্রি করে দেন। এই করোনা সংকটে সরকার ধান ক্রয় কার্যক্রম জারি রেখেছে। আপনারা ন্যায্য মুল্য পাবেন।
৫ views