ফরিদপুর প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব এর চেতনা ও আদর্শ প্রতিষ্ঠা করাই নতুন প্রজন্মের দায়িত্ব এবং এ দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে সকলকে পালনের আহবান জানিয়েছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব এর ৯১তম জন্ম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ডিজিটাল প্লাটফর্মে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।জেলা প্রশাসক বলেন, বঙ্গমাতা একজন ক্ষণজন্মা নারী। তিনি সার্বক্ষনিক বঙ্গবন্ধুকে অনুপ্রাণিত করতেন। বঙ্গবন্ধু জেলখানায় থাকাকালে নীরবে তার দায়িত্ব পালন করতেন বঙ্গমাতা। তিনি বুঝতেন কোন সময় কি করা প্রয়োজন। রাজনীতিসহ তাদের সবকিছু একসাথে আবর্তিত হয়েছে।তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব ও তাদের পরিবারের জন্মই হয়েছিল দেশের স্বাধীনতার জন্য-বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য। তাই তাদের চেতনা, আদর্শ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের নতুন প্রজন্মের দায়িত্ব। জেলা প্রশাসক অতুল সরকার এ দায়িত্ব সকলকে নিষ্ঠার সাথে পালনের জন্য আহবান জানান। একই সাথে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, বঙ্গমাতা একজন মহীয়সী নারী। এই মহীয়সী নারীর আদর্শ আমাদের সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাকে শ্রদ্ধা করার অর্থই হচ্ছে সকল নারীকে শ্রদ্ধা করা।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায়ের সঞ্চালনায় জুম অ্যাপস ক্লাউডের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ আলিমুজ্জামান (বিপিএম সেবা), সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোশার্রফ আলী, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সুবল সাহা, ফরিদপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, সরকারি ইয়াছিন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শীলা রানী মন্ডল, ফরিদপুর জিলা স্কুলের শিক্ষিকা নাসিমা বেগম, সাংবাদিক নির্মলেন্দু চক্রবর্তী শংকর, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শওকত আলী জাহিদ, নারী নেত্রী আসমা আক্তার মুক্তা, শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিক প্রফেসর মোঃ শাহজাহান, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজভী জামান প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।আলোচনায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সংগ্রামের প্রতিটি ধাপে শুধু মাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী হিসেবে নয়, একজন নীরব দক্ষ সংগঠক হিসেবে যিনি নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে বাঙ্গালীর মুক্তি সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছেন এবং বঙ্গবন্ধুকে হিমালয় সমপর্যায়ে অধিষ্ঠিত করেছেন, তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধু, বাঙ্গালী ও বাংলাদেশ যেমন একইসূত্রে গাঁথা, তেমনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবও পরস্পর অবিচ্ছেদ্য নাম।সর্বজন শ্রদ্ধেয় মহিয়সী এ নারীর ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ ও পালন করে।দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৮ টায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক অম্বিকা ময়দানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।প্রথমে ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, পুলিশ সুপার মোঃ আলিমুজ্জামান (বিপিএম সেবা), জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট শামসুল হক ভোলা মাস্টার, পৌর মেয়র অমিতাব বোস, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মাসুদসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এর আগে তাঁর স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।দুপুরে দিবসটি উপলক্ষে প্রশিক্ষিত নারীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।
৪ views